সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা প্রেরনা: বাংলাদেশ ন্যাপ
দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ আজ জিম্মি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম হু-হু করে বেড়েই চলছে। সীমিত আয়ের মানুষরা হিমশিম খাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে সিন্ডিকেট, দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা সমগ্র জাতির প্রেরনা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটি পরিবার কীভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনকে নির্বাহ করবে তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সঙ্গতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়, তখন দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র পরিবারের বেচে থাকাই কঠিন হয়ে যায়। সম্প্রতি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে উপনীত হওয়ায় তা ‘টক অব দি কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে আলোচিত বিষয় হলো পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, যে বাংলাদেশে মানুষের রাজনীতির অধিকার নেই, অর্থনৈতিক সুবিচার নেই, নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার নিয়ন্ত্রন থাকে লুটেরা সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি থাকে সেই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেখতে চাননি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন, দেশ সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।
তারা আরো বলেন, একাত্তর পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে শক্তিশালী ও স্বাধীন বুদ্ধিজীবী শ্রেনী গড়ে উঠেছিল তা প্রায় অনুপস্থিত। কেউ বিপদে পড়ার, কেউ আবার সুযোগ সুবিধা হারানোর ভয়ে চুপ থাকেন। সমাজের ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে তারা কোনো কথা বলেন না। আবার যারা বলেন তারা দলীয় চিন্তার বাইরে যেতে পারেন না। সরকারের প্রয়োজনীয় সমালোচনাও তারা করেন না। তাদের কাছ থেকে কোনো দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় না।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় পার্টির সকল শাখাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ ও আদর্শ আর চলার পথটিকে আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব ভালো ভাবে জাগ্রত করা প্রয়োজন। তাহলেই তারা উদ্বুদ্ধ এবং অনুপ্রাণিত হবে। তারা দেশের অন্যায় অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে। পুরো বছরের মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর এলেই শুধু মাত্র বুদ্ধিজীবীদের কথা জাতি যেন স্মরণে আনে। এটা বাঙালি জাতির একটি চরম ব্যর্থতা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন