সিরাজগঞ্জে অজ্ঞান করে কিশোরীকে ধর্ষণ: সহায়তাকারী নারী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার এক কিশোরীকে (১২) চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সহায়তাকারী জোসনাকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উক্ত উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের এক দম্পত্তি ঋণের দায়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে। এজন্য ওই কিশোরীকে একই এলাকার নানা বাড়িতে রেখে যায়। গত ৬ নভেম্বর দুপুরের দিকে ওই কিশোরী একাই মা-বাবার কাছে যাওয়ার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিল। এ সময় তাকে অনুসরণ করতে থাকে একই গ্রামের জোসনা নামের এক গৃহবধূ এবং ওই কিশোরী সিএনজি যোগে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে আসে। ওইদিন হরতাল অবরোধ থাকায় কিশোরী ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ভাড়া মিটায়। এ সময় জোসনা ওই কিশোরীকে তার নাতনী পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে নেয় এবং চেতনানাশক দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে জ্ঞান ফিরে ওই কিশোরী একই এলাকার আড়ঙ্গাইল গ্রামের জান মাহমুদকে (৪০) দেখতে পায়। এক পর্যায়ে সে কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওইদিন রাতে ধর্ষণ করে। পরদিন কিশোরীকে ফের চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় নামিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন সিএনজি চালকের সহায়তায় তাকে নানার বাড়িতে পাঠানো হয়। সে বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের কাছে এই ঘটনার কথা বলে এবং গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে। এ সময় স্বজনেরা তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সহায়তাকারী জোসনাকে গ্রেফতার করে। তাকে সলংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সলংগা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক বলেন, ঘটনাস্থল সলংগা থানা এলাকায়। এজন্য এ ব্যাপারে সলংগা থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামী জান মাহমুদকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।