সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অনুদানের রোগা গরু না নিয়ে ফিরে গেলেন ১০৭ উপকারভোগী
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের মাঝে অনুদানের বাড়ন্ত ষাঁড় বাছুর বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের বাছুর গরু রোগা ও নিম্নমানের হওয়ায় গ্রহণ করেনি উপকারভোগীরা।
অবশেষে স্থানীয় এমপির নির্দেশে এ প্রকল্পের বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত উপজেলায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের মাঝে আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাড়ন্ত ষাঁড় বাছুর বিতরণ প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্প কৃর্তপক্ষ বিধিমতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে দরপত্র আহবান করে।
এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০৭টি বাছুর গরু সরবরাহ করবে। এরমধ্যে প্রথম চালানে ৫৫ টি গরু তাড়াশ প্রাণিসম্পদ বিভাগে সরবরাহ করে। শনিবার দুপুরে ওই উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গরু বিতরণের কথা ছিল। ওইদিন সকাল থেকেই উপকারভোগীরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে উপস্থিত হন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। তিনি বিতরণ কালে উপকারভোগীরা অনুদানের এ রুগ্ন ও অসুস্থ গবাদিপশু নিতে অস্বীকার করে। অবশেষে এমপি’র নির্দেশে এ প্রকল্পের গরু বিতরণ স্থগিত করা হয়। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এ গবাদি পশু রুগ্ন ও অসুস্থ থাকায় উপকারভোগীরা এ গরু নেয়নি। এজন্য এমপি মহোদয়ের নির্দেশে বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে শীঘ্রই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে উপকারভোগীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন