সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল ও সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে।
আহতদের বেলকুচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে দলীয় ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্রকরে ব্যানার ছিরে ফেলা আর হামলার ঘটনায় স্থানীয় এমপির উপর ক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতাকর্মীরা।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন জানান, শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতা কর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার প্রস্তুতিকালে দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আমরা আইনশৃখলা বাহিনি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। উভয় গ্রুপকেই দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমরা নেতা কর্মীদের নিয়ে সকাল পৌনে ৭ টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হই। সকাল ৭ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল আসার পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর আমরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যপ্রদান ও পুস্পস্তবক অর্পনের পূর্বেই দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে এমপির লোকজন আমার উপর চড়াও হয়। আমি বলি এটা দলের ব্যানার এখানে শুধু বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর ছবি আর নাম থাকবে। নিচে আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ লেখা রয়েছে। কিন্তু তারা সেটা মানতে নারাজ। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা করলে সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামাল হোসেন, অলিভ মন্ডল, রুবেল হোসেন গুরুতর আহত হলে আমি তাড়াতাড়ি তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তবে এই ছোট্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে এমপির এমন আচরন আমি আশা করিনি। আমি বিষয়টি দলের উর্ধতন নেতাদের জানাবো।
এবিষয়ে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, সকালে এমপি দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কার্যলয়ের ভিতরে গিয়ে দেখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে তার নাম নেই। তখন বিষয়টি দলের সাধানর সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে আশানুর বিশ্বাসের কিছু লোকজন কথাটি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে উভয়ের সমর্থকদের মাঝে সামান্য হাতা হাতি হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক নিয়ন্ত্রন করে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়াডে পুস্পস্তপ অর্পণ করি ও উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করি।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান বলেন, আজকের এই দিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন