সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক শিমুল হত্যার ৬ বছর : শুরু হয়নি বিচারকার্য
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলকে হত্যার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্বব্যাপী আলোচিত এ হত্যাকান্ডের বিচার পায়নি তার পরিবার। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা জানান, শিমুল হত্যাকান্ডের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতা এবং কূটকৌশলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া তো দূরের কথা বিচারকার্যই শুরুই হয়নি।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরের মণিরামপুরে মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে সংঘষের্র ছবি তুলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সাংবাদিক শিমুল। পরদিন ৩ ফেব্রæয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় সেসময় শাহজাদপুরসহ দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ জানায় ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে। সেইসাথে দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সাংবাদিক সমাজ। বিশ্যব্যাপী আলোচিত হয়ে ওঠে এ ঘটনা। তখন থেকেই শাহজাদপুরের সাংবাদিকরা ধারাবাহিক ভাবে খুনিদের বিচার দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজাদপুরের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও শিমুলের পরিবারের সদস্যরা।
এদিন সকালে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় আব্দুল হাকিম শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর শাহজাদপুর প্রেসক্লাব থেকে শাহজাদপুরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, সংস্কৃতিকর্মী এবং নিহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের ¯^জনদের নিয়ে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেস ক্লাব চত্বরে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুন্ডুর সভাপতিতে এবং সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক সবুজ ইউনুস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান পিন্টু, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি এমএ জাফর লিটন, বিআরডিবি চেয়ারম্যান ভিপি লুৎফর রহমান, সাংবাদিক শফিউল হাসান চৌধুরী লাইফ, আতিকুল ইসলাম, কল্যাণ ভৌমিক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক শিমুল হত্যাকান্ডের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতা এবং কূটকৌশলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া তো দূরের কথা বিচারকার্যই শুরু হয়নি। এ হত্যা মামলার সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে অবিলম্বে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন