সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে জনদূর্ভোগ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ১০ মিনিট শোয়া কর্মসূচী

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট: বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) ও বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবি উপস্থাপনের বলিষ্ঠ সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস) এর যৌথ উদ্যোগে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারী ২০২৪) বিকাল ৩ ঘটিকায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মুখের রাস্তার উত্তর পার্শ্বে সিলেট বিভাগের একমাত্র চিকিৎসার সর্ববৃহৎ নির্ভয়যোগ্য প্রতিষ্ঠান সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জনদূর্ভোগ লাঘব করে শত ভাগ সেবামূলক হিসেবে গড়ে তোলা ও দুর্নীতিমুক্ত করার দাবীতে ৩০ মিনিটের অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, সিলেট বিভাগে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসাস্থল সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পুরো দেশজুড়ে সিলেট অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা কেন্দ্রটির সুনাম ছড়িয়ে আছে। কিন্তু বলতে কষ্ট হয়, বর্তমানে পুরো ভিন্ন পথে চলছে দেশের অন্যতম সিলেট বিভাগের সর্বসাধারণের একমাত্র ভরসার চিকিৎসা কেন্দ্র সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সর্বসাধারণের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। অসহায় ও সর্বসাধারণ রোগীদের সরকারী ভাবে চিকিৎসা সেবা সহ ফ্রি ঔষধ পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা পাচ্ছেন না রোগীরা। সর্বস্তরের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া আর কেউই চিকিৎসা সেবা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না।
হাসপাতালের ওয়ার্ড ও কেবিনে পর্যাপ্ত সিট খালি থাকার পরও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে ওয়ার্ডের ফ্লোর, বারান্দা ও বাথরুমের পাশের খালি জায়গায় রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা অস্বচ্ছল রোগীদেরকে হাসপাতালে থাকা সরকারী ঔষধ না দিয়ে বাহিরের ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ওসমানী হাসপাতালে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
হাসপাতলের অপারেশন থিয়েটার রোগীদের স্বজনদের জন্য ঔষধের স্লিপের কারখানা হয়ে গেছে। হাসপাতালে দালালদেও দৌড়াত্ব দেখে মনে হয় দায়িত্ব্শীলহীন ভাবে হাসপাতাল চলছে। আমরা সিলেটবাসী বড় অসহায় হয়ে চিকিৎসা সেবার কাছে জিম্মি হয়ে আছি। এই দুর্দশা থেকে আমরা মুক্তি চাই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও সিলেট কৃতি সন্তান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি ওসমানী হাসপাতালের এই দৈন্যদশা থেকে রক্ষা করতে দৃঢ পদক্ষেপ কামনা করেন বক্তরা।
বক্তারা আরো বলেন ওসমানী হাসপাতাল শুধু সরকারী হাসপাতাল নয়, হাসপাতালটি ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ওসমানী হাসপাতাল থেকে সবধরণের জনদূর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি দূর করা না হলে ২৯ এপ্রিল সোমবার ১০ মিনিট শোয়া কর্মসূচীর মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিবিযুকস‘র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদারের পরিচালনায় ৩০ মিনিটের অবস্থান কর্মসূচীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান আজিজ। একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সিলেট সদর উপজেলার সম্ভ্যাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মানবাধিকার কর্মী তোফায়েল আহমদ, যুবনতো আব্দুল মুকিত, যুবনেতা মোহাম্মদ সাজ্জাদুজ্জামান বাবলু।
ভুক্তভোগীদের মধ্য থেকে মোঃ ময়নুল ইসলাম, মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম ছুরুকী, সেবুল মিয়া। সিলেট প্রেমী সচেতন নাগরিক ও সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র প্রার্থী শাহজাহান মাস্টার, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া, সদস্য মোঃ ইয়াকুব, সিবিযুকস’ও জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. উজ্জল আহমদ, সিবিযুকস’র মহানগর কমিটির প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু।
বিশিষ্ট সমাজসেবী মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, যুবনেতা নাহিদুল ইসলাম পারভেজ, আকবর আহমেদ অয়ন, শরিফ ইয়াছিন হৃদয়, আব্দুছ ছামাদ আজাদ, মো. শাব্বির আহমেদ জয়, মোঃ ইমন আহমেদ রাসেল, মোঃ সালমান উদ্দীন শুভ, মোঃ জুয়েল আহমদ, রনি আচ্যার্য্য, শাহরিয়ার হাসান, নজিবুল ইসলাম জেবলু, মিল্লাত আহমদ, সুজন আহমদ ও সজিব আহমদ। এছাড়াও ৩০ মিনিটের অবস্থান কর্মসূচীতে রোগীদের স্বজনসহ প্রায় দুই শতাধিক নাগরিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন