সিলেটে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের বীমা গ্রাহকরা নিজের জমানো টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন
সিলেটে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বীমা গ্রাহকরা নিজের পলিসির জমানো টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ৭ জন সিলেটি পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের পলিসির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলায় গ্রেফতার হাওয়ায় সিলেটসহ প্রবাস জুড়ে তোলাপড় সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি ৭ পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৪ লাখ টাকার বীমা আত্মসাৎ করার অভিযোগে হোমল্যান্ড লাইফের ৭ পরিচালকের বিরুদ্ধে মাগুরার আদালতে ৪টি মামলা করা হয় এবং ঢাকা হেড অফিসে থেকে তাদের গ্রেফতার কার হয়। বিষয়টি দেশের বীমাখাতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এ খবর সোস্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট গণমাধ্যমে প্রচারের পর সিলেটে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের বীমা গ্রাহকরা হতাশায় পড়ে যান। অনেকেই বীমা টাকা উত্তোলনের জন্য শাখা অফিস গুলোতে দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছেন। কেউ কেউ পলিসির মেয়াদ পূর্ণের আগেই টাকা উত্তোলন করতে চাচ্ছেন। গ্রাহকদের কাছে এ কোম্পানীটি এখন হায় হায় কোম্পানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক জানান,ওসিলেটিরা যখন লন্ডনের স্বনাম ধন্য ৭ জন্য ব্যবসায়ী ওই কোম্পানীর পরিচালকদের মামলা দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে, তাহলে আমাদের ছোট ছোট ইনভেস্টারের অবস্থা কি হবে। সিলেট জুড়ে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর ব্যাপক কার্যক্রম থাকলে ওই ঘটনার পর বড় ধরে ধাক্কা লেগেছে মাঠ পর্যায়ে কর্মী ও গ্রাহকদের মাঝে। সাধারণ বীমা গ্রাহকরা মুখ ফিরে নিচ্ছে বীমা খাত থেকে। শুধু হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স নয়, অন্যান্য কোম্পানী গুলোর উপর এ প্রভাব পড়েছে।
এ এদিকে সিলেটে বীমা কর্মীরা জানান, হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিষয়টি যদি সমাধাণ না করা হয়, তাহলে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করা খুবই কষ্ট সাধ্য ও বির্তকের সৃষ্টি হবে বীমা নিয়ে। তাছাড়া সিলেটে বীমা প্রেমিক গ্রাহকরা আগ্রহ হারাবে এবং মুখ ফিরিয়ে নিবে বীমা খাত থেকে।
এ ঘটনার পর প্রবাসী অনেক বিনিয়োগকারীরা বীমা খাত ও সিলেট ব্যবসা বাণিজ্য থেকে ধীরে ধীরে সব টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন