সুইস ব্যাংকে প্রিন্স মূসার ৯৬ হাজার কোটি টাকা

সুইস ব্যাংকে আলোচিত ধনকুবের প্রিন্স মূসার ৯৬ হাজার কোটি টাকা জমা আছে। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল অংকের এই টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলার সুপারিশ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। একই সঙ্গে প্রিন্স মূসার জব্দ করা বিলাসবহুল গাড়ির ভুয়া রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত শুল্ক গোয়েন্দার একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে মানি লল্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রিন্স মূসা ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বুধবার পরিবর্তন ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জরোভার গাড়ি ভোলা বিআরটিএ-র কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে ভূয়া রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে ব্যবহার করছিলেন প্রিন্স মূসা। কিন্তু, শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায় এই গাড়িতে ২ কোটি ১৬ কোটি টাকা শুল্ক জড়িত। বিআরটিএতে দাখিল বিল অব এন্ট্রিটি ভূয়া হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়। তার এই অপরাধ দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় শুল্ক গোয়েন্দা দুদক কর্তৃক মামলা ও তদন্ত করার সুপারিশ করে।

এছাড়া শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মূসা লিখিতভাবে জানান সুইস ব্যাংকে তার প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। কিন্তু এ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি শুল্ক গোয়েন্দাকে দেখাতে পারেনি। এজন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় প্রিন্স মূসার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার সুপারিশ এনবিআরে প্রেরণ করা হয়েছে।