সুনামগঞ্জে পিআইও অফিসে বিভিন্ন প্রকল্পের বিলের টাকা নাম মাত্র কাজ করে লুটপাট
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের টিআর, খাবিখা,কাবিটা ও বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা নাম মাত্র কাজ করে ও একই প্রকল্পের উপর একই অর্থ বছরে তিনটি বরাদ্দ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, কাগজে প্রকল্প আছে বাস্তবে পানির নিচে, এই সব পিআইও অফিসের সহায়তায় টাকা ভাগাভাগি করে বিল নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় সরকারি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সকল প্রকল্প না দেখে পিআইও টাকার বিনিময়ে রাতারাতি বিল দিয়ে দিচ্ছেন।
২০২২- ২৩ অর্থ বছরে ধর্মপাশা শিক্ষক সমিতির নামে তিনবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা যাহা আইন পরিপন্থী । সেই প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় সংসদের চাচা হিসেবে পরিচিতি ধর্মপাশা ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাজাহান কবির। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক সমিতির ঘর মেরামতের জন্য সকল শিক্ষকদের চাঁদা দিতে হয়েছে। নাম মাত্র কাজ করে বাকি টাকা কি করেছে আমাদের জানা নেই, এমপির চাচা পরিচয় দেওয়ায় শাজাহান কবিরের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। বিগত দশ বছরের সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
মধ্যনগর চামরদানী গ্রামে সার্বজনীন কালি মন্দিরের নামে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় সেই প্রকল্পের সভাপতি ছিল একই গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ কান্তি সরকার, খুঁজ নিয়ে জানা যায়, সেই মন্দিরে মাত্র ১০ হাজার টাকা পেয়েছে। বাকি টাকা অফিস ও বিদ্যুৎ কান্তি সরকার আত্মসাৎ করেছেন।
বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন গতকয়দিন আগে দিয়েছে, সেই প্রকল্পের কাজ করা হয়নি কিন্তু বিল টাকার বিনিময়ে পিআইও দিয়ে দিচ্ছেন। সে বিভিন্ন লোকজনকে বলেন আমি ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। ৩০ শে জুনের ভিতরে সব বিল দিয়ে যেতে চাই।
এক মুক্তি যুদ্ধা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর উপহার দিয়েছেন, সেই ঘরের কাজ পিআইও অফিসের গাফিলতির কারনে আজও কাজ শেষ হচ্ছে না।
উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে এলাকাবাসীর দাবী, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে গত ২১-২২ ও ২২-২৩ অর্থবছরের যত কাজ হয়েছে সঠিক ভাবে তদন্ত করলে পিআইওর দূর্নতীর সব কিছু বেরিয়ে আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার সোনার বাংলা গরার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন, কিছু অসৎ লোকের জন্য উন্নয়ন বাঁধা গ্রস্ত হচ্ছে, তাই এই এলাকার মানুষ প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে।
পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাতবায়ন কর্মকর্তা আমার কাছে প্রকল্পের টাকার ১৫% তাকে দিতে হবে বলে দাবি করেন। সকলেই এইভাবে দিচ্ছে।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে নতুন পিআইও হিসেবে গত ১২ই জুন যোগদান করেন মোঃ মোতালিব সরকার। সে বলেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোঃ এরশাদ হোসেন আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। তিনি বলেছেন ৩০ শে জুনের পরে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা পিআইও মোঃ এরশাদ হোসেন বলেন,আমি এই সব কাজ করিনাই, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।
সুনামগঞ্জ জেলার ত্রান ও পূর্ণ বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন যেগোলো অনুমোদন হয়েছে, সেগোলো বিল দিতে না করেছি, টাকা তোলে ব্যাংকে রাখারর জন্য বলেছি। টাকা রাখার আইন গত বৈধতা আছে কিনা জবাবে তিনি বলেন, আইন গত কোন বৈধতা নেই, পিআইও টাকার বিনিময়ে কিছু করলে, তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন,এই বিষয় গোলো তদন্ত করে দেখে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন