সুন্দরবনে পরিবারের সঙ্গ: কাইয়ুম রাজের আনন্দঘন ভ্রমণ

আমি এবিএম কাইয়ুম রাজ। এবারের ঈদে আমি নানুবাড়ি গিয়েছিলাম। ঈদের আনন্দ পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলাম। ঈদের কয়েকদিন পর নানুবাড়ি থেকেই সবাইকে নিয়ে আমরা রওনা দিলাম সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে।
আমাদের টিমটা ছিল বেশ বড় মামাতো ভাই ছাব্বির, খালাতো ভাই আখলাকুর, মামা ফরিদ, মামাতো বোন মর্জিনা, শিরিনা, মিথিলা, বোন শাপরা, মর্জিনার বর হামজা দুলাভাই, দুইজন মামনি, ভাগ্নে সোহান আর ভাগ্নি সোহানা সবাই মিলে গিয়েছিলাম।
নৌকায় চেপে আমরা সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির সৌন্দর্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। চারপাশে শুধু পানি আর গাছ, মাঝে মাঝে দূরে জঙ্গলের শব্দ। কেউ কেউ ছবি তুলছিল, কেউ আবার শুধু বসে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিল।
এক জায়গায় গিয়ে আমরা সবাই মিলে নেমে পড়লাম। তখন শুরু হলো গাছে ওঠার প্রতিযোগিতা। ছাব্বির, আখলাকুর, আমি, এমনকি মর্জিনা, শিরিনা, মিথিলা, শাপলা সবাই গাছে উঠেছিলাম। সবাই খুব মজা করছিল, আর কেউ কেউ নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। আমাদের হাসি-তামাশায় চারপাশের বাতাস প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল।
তারপর সবাই মিলে বসে মিষ্টি খেলাম, ঠান্ডা কোক খাওয়া হলো। ভাগ্নে সোহান আর ভাগ্নি সোহানা দৌড়াদৌড়ি করে সবাইকে জ্বালিয়ে দিচ্ছিল, মামনিরা বারবার ডাকছিল, “এই সোহান, নামো নিচে!” কিন্তু কে শোনে কার কথা!
বিকেলের দিকে আমরা আবার নৌকায় উঠলাম। নদীর বাতাসে মনটা যেন একদম হালকা হয়ে গেল। মামা ফরিদ তখন আমাদের সুন্দরবনের কিছু পুরনো গল্প শোনালেন জলদস্যু, বাঘ আর হরিণের গল্প।
এই ভ্রমণটা আমাদের জীবনের এক সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। এত আত্মীয় একসঙ্গে মিলে এমন সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানো এটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন