‘সুন্দরী’ স্ত্রীর খাতিরে শেষ পর্যন্ত এ কী করলেন স্কুলশিক্ষক!
সাধ ছিল, সাধ্য ছিল না। কিন্তু তা বলে শিক্ষক হয়ে এমন কাজ যে শ্রীকান্ত গুপ্তা করে বসবেন, তা সত্যিই ভাবতে পারেননি তার পরিচিতরা। স্ত্রী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা হোক, এই ছিল তার ইচ্ছা। আর এই ইচ্ছাপূরণের তাগিদেই শ্রীঘরে পৌঁছে গেলেন ৩২ বছরের শিক্ষক।
অপরাধ? নামী শপিং মল থেকে দামি ডিজাইনার শাড়ি চুরি করেছিলেন তিনি। ভারতের ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার সরকন্দা এলাকার বাসিন্দা শ্রীকান্ত গুপ্তা। বিয়ের পর থেকে একটাই ইচ্ছে ছিল তার জীবনে। স্ত্রী প্রমীলা (২৬) যেন স্থানীয় ‘সাওন সুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় সেরা হন। কিন্তু সুন্দরী হতে গেলে তো একটু সাজগোজও প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে প্রয়োজন দামি পোশাকও। এর জন্য নামী শপিং মলেও গিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। তবে, ডিজাইনার শাড়ির যা দাম দেখলেন, সামান্য স্কুলশিক্ষকের চাকরিতে সে টাকা দিয়ে শাড়িটি কেনা অসম্ভব ছিল তার পক্ষে। তা বলে কি স্ত্রী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না? সে কেমন করে হতে পারে? যেনতেন প্রকারেণ স্ত্রীকে সেরা সুন্দরী হতেই হবে। এই ভেবেই শেষে চুরির ফন্দি আঁটেন মাস্টারমশাই।
এক তুতো ভাইয়ের সঙ্গে মিলে শপিং মল থেকে ডিজাইনার শাড়িটি চুপচাপ সরিয়েও নেন তিনি। কেউ জানতেও পারেনি সে সময়। কিন্তু সুন্দরী প্রতিযোগিতাতেই মাস্টারমশাইয়ের চুরি ধরা পড়ে যায়। সেই শাড়িটি পরেই ‘সাওন সুন্দরী’ প্রতিযোগিতার মঞ্চে আসেন শ্রীকান্তের স্ত্রী প্রমীলা।
এক দর্শক শাড়িটি দেখে চিনতে পারেন। তিনিই শাড়ির দোকানের মালিককে খবর দেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান দোকানমালিক। ধরা পড়েন শিক্ষক। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার স্ত্রীকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন