সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য, বদ্ধপরিকর বললেন সিইসি
বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। জবাবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা এ ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
রোববার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারে।
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় ও আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। জানতে চেয়েছিলেন— আমাদের প্রস্তুতি কেমন। তবে উনি আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক হবে। উনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। আমরাও আমাদের তরফ থেকে তা জানাতে পেরেছি।
সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বলেছি— আমরা ট্রান্সপারেন্সিতে খুব জোর দিয়ে থাকব। অবজারভার ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করব।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়ে দাবি তুলেছে গণমাধ্যম। আমরা বলেছি- একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম তা হলো এটার অপব্যবহার হবে কি না। যারা মাসলম্যান তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে কোনো ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে কিনা? সেটা মাথায় রেখে একটা বিধান আমরা করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল ছাড়া তাদের পক্ষে নির্বাচনি কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। তাই এটা আন্ডাররিভিউ করছি, এটি পরিবর্তন করব। আর উনি আশা করেছেন— নির্বাচন যেন পার্টিসিপেন্ড ও ক্রেডিবিলিটি হয়। আমরা বলেছি- নির্বাচন অবাধ করতে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন