সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ইবির সামাজিক সংগঠনগুলোর মানববন্ধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ফের মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ- ঐক্যমঞ্চ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” ম্যুরাল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন। এটা হত্যা, আত্মহত্যা নাকি আত্মহত্যার প্ররোচনা সেটা তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এসময় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এ এইচ ওয়ালীউল্লাহ, রোটার্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম নাহিদ, ক্যাপের কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি ও ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব রাবেয়া খাতুন সিআরসির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুনিব, তারুণ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, তরুণ কলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ও
রক্তিমার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বক্তব্য প্রদান দেন।
এসময় বক্তারা বলেন, শোকের মাসে আরও একটি শোক। আজ নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবিতে আমরা মানববন্ধন করছি, অথচ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি আদায়ে নওরীন আন্দোলনে সক্রিয় থাকতো তার মৃত্যু একটি ধোঁয়াশাপুর্ণ ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অঙ্গনে নওরীনের বিচরণ ছিল। তার মৃত্যুতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর যে শূণ্যতা এসেছে তা অপূরণীয় থেকেই যাবে। নওরীন এমন একজন মেয়ে, যে আত্নহত্যা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস হয় না। তাকে হত্যা করা হয়েছে কিংবা তার সাথে এমন কিছু করা হয়েছে যেটা তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। বলা হচ্ছে নওরীন ছয় তলা থেকে লাফ দিয় আত্নহত্যা করেছে। কিন্তু ছয় তলা থেকে পড়ে গিয়ে কিভাবে তার লাশ অক্ষত অবস্থায় থাকলো? আমরা চাই বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তার ধোঁয়াশাপূর্ণ মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করা হোক।
বাংলাদেশ তুরুণ কলাম লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এ এইচ ওয়ালীউললাহ বলেন, আমরা আজকে এখানে দাড়িয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবি জানানোর জন্য। আমরা তার হত্যার বিচার চাই। তার মৃত্যুতে অনেক ধোঁয়াশা ও প্রশ্ন উঠে এসেছে। তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে নাকি নিজে আত্মহত্যা করেছে? এমন প্রশ্নও উঠেছে। আমরা তার জানাযায় একদম পরিচ্ছন্ন লাশ দেখেছিলাম, যদি কোন ব্যক্তি ছয় তলা থেকে লাফ দেয়, তাহলে কিভাবে তার দেহ সুরক্ষিত থাকে? এ জায়গা থেকে আজকে আমরা দাবি জানাই একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য উন্মোচন হোক এবং কেউ যদি অপরাধী হয়ে থাকে তার বিচার করা হোক।
ঐক্যমঞ্চের সভাপতি রাবেয়া খাতুন বলেন, নওরীনের মৃত্যুতে তার বাবার খোলা চিঠি ও স্বামীর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আমাদের ঘোলাটে মনে হচ্ছে। এমন একজন মুক্তমনা কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। হয়তো তার সাথে এমন কোন ঘটনা ঘটেছিল, যার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন বা প্ররোচিত হয়েছেন। নওরীন শুধু একটি সংগঠনে ছিল বিষয়টি এরকম না, তিনি প্রতিটি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগঠনের সদস্যদের একটি প্রশ্ন নওরীন কেন আত্মহত্যা করলো? নওরীনরা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন