সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ফের রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল বিমান


নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনা যেন পিছু ছাড়ছে না। এবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বিমানের ১৩৯ যাত্রী। ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে মালিন্দো এয়ারলান্সের একটি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর শুক্রবার বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।
বিমানের চাকা পিছলে বিমানটি ছিটকে পড়লেও বড় ধরনের কোনো বিপত্তি বাধেনি। কেউ এই ঘটনায় হতাহত হয়নি। মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান-৭৩৭ বিমানটির চাকা কাঁদার মধ্যে আটকা পড়ে। বিমানটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য সেসময় বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমানের উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এতে বাইরে থেকে যেসব ফ্লাইট ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সেগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।
তবে কত সময়ের জন্য ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার ওই বিমানটি কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় সমস্যার মুখোমুখি হন বিমানের পাইলট। বিমানটি ছিটকে রানওয়ে থেকে ৩০ মিটার দূরে কাঁদার মধ্যে আটকে যায়।
প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানের সব আরোহীই নিরাপদে আছেন। তবে কি কারণে এ ধরনের সমস্যা হলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মাত্র একমাস আগেই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তুর্কিস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ওই একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে চারদিন ধরে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন