সেই নাঈমকে ‘ছোট্ট সুপারম্যান’ বলল আনন্দবাজার
বনানীর এফ আর টাওয়ারে বৃহস্পতিবারের (২৮ মার্চ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে উদ্ধার কাজ করেছেন অনেকে। তেমনই একজন ক্ষুদে সাহায্যকর্মী ছিলে নাঈম নামে বছর দশেকের একটি শিশু।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় তার ছবি। হাজারো উৎসুক জনতার মাঝে এই ছবিটি নজর কেড়েছে সবার। নাঈমের ফায়ার সার্ভিসের ফাটা পাইপ দিয়ে বের হয়ে যাওয়া পানি আটকে রাখার চেষ্টা প্রশংসিত হয়েছে দেশব্যাপী।
ছোট্ট নাঈমকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারও। প্রতিবেদনের শিরোনামে তারা লিখেছে ‘ঢাকার রাস্তায় ছোট্ট সুপারম্যান’।
প্রতিবেদনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নাঈমের পাইপের লিক আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা ছবিটি। পাশেই একটি কার্টুন আঁকা হয়েছে, যেখানে নাঈমকে দেখানো হয়েছে সুপারম্যান রূপে। আনন্দবাজার বলছে, এই ছবিটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
আনন্দবাজার লিখেছে, ‘পরনে নীল পোশাক, গলায় বাঁধা লাল স্কার্ফ উড়ছে পেছনে। যেন সুপারম্যান হাজির ঢাকার রাস্তায়। বনানীর জতুগৃহ এফ আর টাওয়ারে লাগা আগুনের লেলিহান শিখার সঙ্গে দমকলের কর্মীরা যখন লড়ছেন, জলের পাইপের লিক বন্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে বসে ছিলেন সুপারম্যান। … তবে ঢাকার সুপারম্যান যে নেহাতই ছোট্ট, বয়স বড়জোর ১০ কি ১১!’
নাঈম বড় হয়ে পুলিশ হতে চায়, সে তথ্য দিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে নাঈম বলেছে, ‘আমি বড় হয়ে পুলিশ হইতে চাই। পুলিশ হইলে মানুষের সাহায্য করা যাইব!’
নাঈমের পরিচয় জানিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, ‘এফ আর টাওয়ারে আগুন ছড়িয়ে পড়তে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। নাঈমও বসে থাকেনি। লম্বা পাইপ এঁকে বেঁকে যে জল নিয়ে আসছে, দমকলের কর্মীরা তা ছড়িয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করছেন। তেমনই একটা পাইপে একটা ফুটো দেখতে পেয়ে প্রথমে হাতে করে চেপে ধরে নাঈম। তাতেও জল বেরিয়ে আসছে দেখে শুয়ে পড়ে সেটা বুকে চেপে ধরে। সেই সময়ে কিছু প্লাস্টিক এনে দেয় কেউ। তা দিয়েই অদম্য জেদে লিক বন্ধ করে বসেছিল ছোট্ট ছেলেটি। টানা কয়েক ঘণ্টা।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন