সেনাবাহিনীর চিকিৎসা প্রশাসন থেকে প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা
সেনাবাহিনীতে চিকিৎসা প্রশাসন থেকে প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হলেন নাজমা বেগম। তিনি ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন।
নাজমা বেগম জাতিসংঘেও প্রথম নারী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দু’বার লেভেল-২ হাসপাতাল কমান্ড করেন। দু’বার তিনি মিশন এরিয়ায় কান্ট্রি সিনিয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও বিমান বাহিনীতে চাকরিকালীন তিনি দু’টি (বিএএফ বেস জহুর এবং বেস বাশার) মেডিকেল স্কোয়াড্রন কমান্ড করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি ফোর্স কমান্ডার, এসআরএসজি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের সেনাপ্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রশংসাপত্র লাভ করেন। নাজমা বেগমের এ পদোন্নতি সেনাবাহিনীর চিকিৎসা প্রশাসনে নারীর ক্ষমতায়নে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালের জন্য তিনি ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। শান্তিরক্ষা মিশনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা বেগমের অবদানের কথা উল্লেখ করে মধ্য আফ্রিকায় নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত (এসআরএসজি) বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কন্টিনজেন্টের অবদান শুধু জাতিসংঘ ও স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবার জন্যই সবাই স্মরণ করবে না, বরং প্রথম নারী কমান্ডার হিসেবে কর্নেল (তৎকালীন) নাজমার জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন