সৌদি-আমিরাতের বিমান ও সমুদ্রবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি হুথিদের

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইয়েমেনে ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি জোটের আগ্রাসনের জবাবে এ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার হুথিদের রাজনৈতিক শাখা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এ হুমকি দেয়া হয়। হুথি বিদ্রোহীরা গত শনিবার রাতেও সৌদির রাজধানী রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল।

হুথি বিদ্রোহীরা আরও জানিয়েছে, ইয়েমেনের ওপর আরোপিত অবরোধ বানচাল করতে এবং ইয়েমেনি জনগণকে দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলা ও অপমানের চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা আরো নানা উপায়ে ব্যবস্থা নেব। আমরা নিরলস বসে থাকব না। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট এবং এসব দেশের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। কারণ তাদের ওপর হামলা আমাদের বৈধ অধিকার।

সম্প্রতি হুথিদের এক মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছে, সৌদি সরকার আমাদের নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। তাই তারা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা পাবে না। এদিকে, ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দমনের জন্য বিমান হামলা চলছিল।

যা কয়েক মাস আগে শেষ করে সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত বিপ্লব প্রতিরোধের লক্ষ্যে ইয়েমেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগ করার মধ্য দিয়ে যে সংকটের শুরু, তা থেকে আজও বেরিয়ে আসতে পারেনি দেশটি। সালেহ সুন্নি মতবাদ অনুসরণ করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি জাইদি সম্প্রদায়ের সদস্য, যে সম্প্রদায়ের অংশ হুথিরাও।