সৌদি নারীদের জন্য যে ৭ কাজ নিষিদ্ধ
সৌদি আরবে নারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু আইন। ওইসব আইনে নারীদের চলাচল, পোশাক, ব্যবসা, চাকরি বা ভ্রমণের মতো বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সম্প্রতি তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাস থেকে এ প্রত্যাহার আদেশ কার্যকর হবে।
গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও এমন আরও ৭টি কাজ রয়েছে, যা করতে পারেন না সৌদি নারীরা। তবে পিতা, স্বামী, পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতিতে বা বিশেষ ক্ষেত্রে ছেলের অনুমতি নিয়ে এর বেশিরভাগ কাজ করতে পারেন। খবর সিএনএনের।
সৌদি নারীদের জন্য নিষিদ্ধ ওইসব কাজগুলো হলো-
পুরুষের সঙ্গে অবাধ বিচরণ: সৌদি নারীরা পুরুষের সঙ্গে অবাধে ওঠাবসা করতে পারেন না। তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতাল, ব্যাংক, মেডিকেল কলেজ অন্যতম।
২০১৩ সালে দেশটি শপিংমলে পার্টিশান দিয়ে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা এবং নারী-পুরুষ দুই ধরনের কর্মচারী নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়।
পূর্ণ শরীর না ঢেকে জনসমক্ষে যাওয়া: সৌদি নারীদের পূর্ণ শরীর না ঢেকে জনসমক্ষে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এক্ষেত্রে ওই নারীকে অবশ্যই পূর্ণ শরীর আবৃত করা কালো রঙের পোশাক ‘আবায়া’ পরতে হবে। আবায়া হবে খুব ঢিলেঢালা। যাতে শরীরের কাঠামো প্রকাশ না পায় এবং ভদ্রতা বজায় থাকে।
ব্যবসা করা: সৌদি নারীরা ব্যবসা করতে চাইলে তাকে অবশ্যই পুরুষের সাহায্য নিতে হয়। কোনো নারীকে ব্যবসায়িক লাইসেন্স বা ঋণ পেতে দুইজন পুরুষের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। দুইজন পুরুষের সুপারিশ ছাড়া কোনো নারী ব্যবসায়িক লাইসেন্স বা ঋণ পান না।
সন্তানকে হেফাজতে রাখা: সৌদি আরবে কোনো পরিবারে তালাক হলে নির্দিষ্ট সময় পর তালাকপ্রাপ্ত নারী তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য ৬ বছর ও মেয়েদের জন্য ৯ বছর বয়স পর্যন্ত নারী তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন।
এনআইডি ও পাসপোর্ট আবেদন: দেশটির নারীরা ইচ্ছা করলেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। এই দুটি জিনিসের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়।
যেকোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়া: নারীরা চাইলেই যেকোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারেন না। যেসব রেস্টুরেন্টে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে শুধুমাত্র সেখানেই খেতে পারবেন নারীরা। তবে দেশটির বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেই নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। ওইসব রেস্টুরেন্টে নারীদের প্রবেশ পথ ও আলাদা দরজা থাকাও বাধ্যতামূলক।
আদালতে সাক্ষ্য: কোনো একজন নারী আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারেন না। তবে দেশটির আদালতে দুইজন নারীর সাক্ষ্যকে একজন পুরুষের সাক্ষ্য হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কোনো নারীর একক সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন