সৌম্যে সরকারের বিকল্প খুঁজে পেয়েছে বিসিবি, কে তিনি?
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের বাজে পারফর্মেন্সের পরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সৌম্য এবং সাব্বিরের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে । কিন্তু কোচের সেই আস্থার প্রতিদান কি তাঁরা দিতে পেরেছেন? ইতিমধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর প্রায় সকলেই অবশ্য জেনে গেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ম্যাচ খেলে
কিন্তু কোচের সেই আস্থার প্রতিদান কি তাঁরা দিতে পেরেছেন?
ইতিমধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর প্রায় সকলেই অবশ্য জেনে গেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ম্যাচ খেলে সর্ব সাকুল্যে ৩৪ রান করেছেন টাইগার ওপেনার সৌম্য। সৌম্যর থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে অবশ্য আছেন হার্ডহিটার সাব্বির। চার ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৯ রান। ওয়ান ডাউনে খেললে ভালো করতে পারেন-এই ভাবনা থেকে সাব্বিরকে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে খেলানো হয়েছিলো তিন নম্বর পজিশনে। কিন্তু বিধিবাম, ফর্ম হারানো সাব্বির যেই তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেলেন।
সৌম্য-সাব্বিরের এরূপ হতাশাজনক পারফর্মেন্সে স্বভাবতই বেশ ক্ষুব্ধ কোচ হাথুরুসিংহে। এবার তাই তাদের বিকল্প খোঁজার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ওপেনিং পজিশনে সৌম্যর রিপ্লেসমেন্ট কে হতে পারেন সেটি নিয়েই এখন বেশি আলোচনা চলছে ক্রিকেট অঙ্গনে।
আর এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অতীত রেকর্ড এবং ঘরোয়া আসরের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় অনেকটাই এগিয়ে থাকছেন একসময়ের সাড়া জাগানো ওপেনার আনামুল হক বিজয়। ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন বিজয়। এরপর ফর্মহীনতার কারণে দলে জায়গা হারালেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে আসছিলেন অনেক দিন থেকেই। এনসিল, বিসিএল, বিপিএল এবং ডিপিএলে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন বিজয়। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন সৌম্যে সরকারের বিকল্প খুঁজে পেয়েছে বিসিবি। কে তিনি? এ হিসেবে বিজয়ের নাম বেশি আলোচনায়।
এনসিলে ৬ ম্যাচে ৪৫১, বিসিএলে ৫ ম্যাচে ২৭৪, বিপিএলে ১৩ ম্যাচে ২৫০ এবং ডিপিএলে ১৬ ম্যাচে ৫৯৬ রান করেছেন তিনি। এবার হয়তো তারই সুফল পেতে যাচ্ছেন তিনি। লাল সবুজের জার্সি গায়ে আবারো হয়তো মাঠে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
আর এবার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবেন ভালো করার। মঙ্গলবার একাত্তর টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বিজয়। পাশাপাশি নিজের ব্যাটিংয়েও আগের থেকে অনেক উন্নতি এসেছে তাঁর বলেও দাবি করেছেন।
‘এই বাড়তি আত্মবিশ্বাসটা, রান করার যে অভ্যাসটা এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজে দেয়। আমার কাছে মনে হয়, রান করার যে অভ্যাসটি ছিলো, তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি, এটা আমার কাছে মনে হয় বাড়তি ভালো লাগার বিষয়’, বলছিলেন এই টাইগার ওপেনার।
নিজের ব্যাটিংয়েও আগের থেকে অনেক উন্নতি এসেছে বলে মনে করছেন বিজয়। বললেন, ‘কিছু কিছু জিনিস যেমন স্পিন এবং পেস বলে আরও স্ট্রাইক রোটেট করে খেলাটা আমার ভালো হয়েছে। স্ট্রাইক রেট আমার প্রায় ৯৫। এই জিনিসটি আগে থেকে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ’
বর্তমানে হাই পারফর্মেন্স ক্যাম্পে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিজয়। এইচপির অস্ট্রেলিয়া ট্যুরকেই পাখির চোখ করেছেন তিনি। সেখানে নিজেকে আবারো প্রমাণ করে ফিরতে চান বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি বেশ কিছু টুর্নামেন্ট খেলেছি যেমন এশিয়া কাপ টি টোয়েন্টি খেলেছি, ওয়ানডে খেলেছি। এটি ছিলো অনেক বড় মঞ্চ। আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি।
দারুণ দারুণ কিছু টুর্নামেন্টে টিমের সাথে ছিলাম এটি আমার দিক থেকে ভালো অভিজ্ঞতার। ’ টাইগার এই ওপেনার আরও বললেন, ‘এখন যদি জাতীয় দলে যাই তখন অপরিচিত কিছু হয়তো লাগবে না, নতুন প্লেয়ার গেলে যেমন অপরিচিত লাগে। আমার কাছে মনে হয়, যদি জাতীয় দলে যাই এবং আল্লাহর রহমতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকে আমার কাছে মনে হয় পারফর্ম করাটা অত কঠিন হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন