পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঈদ খরচ যোগাতে
স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঈদ খরচের টাকা যোগাতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক গাছ কেটে স্বমিলে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে। উপজেলার ধুলাসার ইউপির ৫৮ নম্বর অনন্তপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অনন্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে গত ক’দিন ধরে ২০টি চাম্বল, ৮টি রেইনট্রি ও ৫টি মেহগনি গাছ সহ মোট ৩০-৩৫টি গাছ কেটে স্বমিলে বিক্রি করে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল আলম ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান খলিফা। গাছ ব্যবসায়ী তাওহীদ থ্রি হুইলার যোগে এ গাছ নিয়ে খোকন খলিফার মালিকানাধীন স্বমিলে মজুত করেন। বেশ পুরনো এবং পরিপক্ক গাছ হওয়ায় প্রতি কেভি গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা। ক্রয় কৃত অধিকাংশ গাছের বেড় ৬-৭ফুট। তবে কোন ধরনের সভা, রেজুলেশন কিংবা উপজেলা কমিটির নিলাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এসব গাছ কাটা হয়েছে। গাছ বিক্রির টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে অন্তত: আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক অভিযোগ স্থানীয়দের । এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য কে এম মেহেদী হাসান প্রিন্স জানান, স্কুল ক্যাম্পাস থেকে বড় সাইজের পুরনো সব গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে স্কুলে কোনো সভা ডাকা হয়নি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কেবল জানেন।
স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী তাওহীদ জানান, মনির খলিফা, খোকন খলিফা ও জিয়া হাওলাদার আমার কাছে গাছ বিক্রি করেছে। নগদ টাকা দিয়ে আমি গাছ ক্রয় করেছি । গাছ কাটার আগেই তারা আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছে। কাটার পর গাছ স্বমিলে আনতে বাকী সমুদয় টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এবিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান খলিফা সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের খরচ যোগাতে নয়, স্কুলের স্পোর্টস অনুষ্ঠান ব্যয়ের জন্য আমরা এই গাছ কেটে বিক্রি করেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল আলম সাংবাদিকদের সভাপতির সাথে কথা বলতে বলে এড়িয়ে যান।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই বিষয়টি তিনি অবগত নন। স্কুল সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রির কোন এখতিয়ার নেই। তারা গাছ বিক্রি করে থাকলে মামলা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন