সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকারি উদ্যোগ নেই : ইলিয়াস কাঞ্চন
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মনোভাব দায়সারা গোছের। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতেও সরকারি পর্যায়ে তেমন উদ্যোগ নেই।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল কক্ষে আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৭’ উপলক্ষে নিসচার কর্মসূচি তুলে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, গাড়ির গতি যত বেশি হবে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা তত বাড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ঘণ্টায় এক কিলোমিটার গতি বাড়লেই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ৪ থেকে ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। চালকের বয়স, লিঙ্গ, প্রশিক্ষণ ও ট্রাফিকসংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব, আইন প্রয়োগে গাফিলতি এই ধরনের দুর্ঘটনাকে আরও উৎসাহিত করে।
ইলিয়াস বলেন, জাতিসংঘ তাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য স্থির করেছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশই দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বাড়াতে সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করবে। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে এই সপ্তাহটি পালনে কোনো সরকারি উদ্যোগ নেই। অথচ জাতিসংঘের বিভিন্ন দিবস সরকারি উদ্যোগেই পালিত হয়।
সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনুধাবন করে সড়কের নিরাপত্তায় জাতিসংঘের পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণের দাবি জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
জাতিসংঘ-ঘোষিত সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সেভ লাইভস: স্লো ডাউন’। ২০০৪ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর সপ্তাহটি পালিত হচ্ছে। বাংলায় ‘গতি কমাও, জীবন বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৮ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত নিসচা সারা দেশে তাদের কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন