সয়াবিন তেলের সংকট যেন কাটছেই না
বাজারে তীর ও বসুন্ধরা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। তবে দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত তেল নেই। বিক্রেতারা জানান, অন্যান্য কোম্পানির কেউ বাজারে আসছেন না। রোজার ঈদের আগে-পরে সয়াবিন তেল একেবারেই ছিল না।
মহাখালীর এক দোকানদার বলেন, সব কোম্পানির তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চাহিদা মতো সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। তবে কয়েকটি বাজার ঘুরে তীর সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও অন্যান্য কোম্পানির খবর নেই।
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করে- সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা), মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ), বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।
এদিকে, গুলশান বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাট কাঁচাবাজারেও সয়াবিন তেলের সংকট দেখা যায়। বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল মিলছে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
গুদারঘাট কাঁচাবাজারের মুরাদ স্টোরের মালিক মুরাদ হোসেন বলেন, ক্রেতাদের তেল দিতে পারি না। দোকানে দরকার দুই কার্টন, কোম্পানি এক কার্টনও দেয়নি। সয়াবিনের সংকটের কারণে আমরা ক্রেতাদের হারিয়ে ফেলছি। সয়াবিন তেল ছাড়া বেচাকেনা হয় না। কোনো কোম্পানি পর্যাপ্ত তেল দেয় না। তীরে তেল দিচ্ছে স্বল্প পরিমাণে। কিন্তু অন্যান্য কোম্পানি মার্কেটে আসেনি।
তবে কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে বাজার স্বাভাবিক হবে। অনেক ক্রেতা প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি সয়াবিন তেল কিনছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন