‘হত্যার ছবি দেখার পরও তাদের খালাস দিতে হলো?’
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির রায় শুনে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁর মা-বাবা। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রের কাছে তাঁদের চাওয়া, বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা যাতে পার পেয়ে না যায়।
শরীয়তপুর-নড়িয়া সড়কের পাশে মশুরা গ্রামের ঘোষ পাড়ায় বিশ্বজিতের পরিবারের বসবাস। গতকাল এ প্রতিবেদক সেখানে গেলে বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত দাস বলেন, ‘প্রকাশ্যে ১০-১২ জন মানুষ আমার ছেলেটাকে কুপিয়ে হত্যা করল। ছেলেটা বাঁচার জন্য কতই না আকুতি করেছিল। পাষণ্ডরা দানবের মতো কুপিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। তাদের ছবি দেশের পত্রিকা, টেলিভিশনে প্রকাশিত হলো। তারপরও তাদের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করা হলো? তাদের খালাস দিতে হলো?’
এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন বিশ্বজিতের মা কল্পনা রানী দাস। তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ আমার মানিক আমাকে মা বলে ডাকে না। মা হিসেবে এটা যে কত বেদনাদায়ক, তা কি কেউ বোঝে না! ওর মৃত্যুর পরের বছর আটজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হলো। আশায় বুক বেঁধেছিলাম অপরাধীদের শাস্তি বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু এখন কী হলো? তাদের সাজা কমল, খালাস পেল। আমরা এ রায় মানি না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন