হালদা দূষণ: এশিয়ান পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ
বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে দেশে মিঠা পানির মাছের একমাত্র প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী দূষণের দায়ে চট্টগ্রামের এশিয়ান পেপার মিলসের উৎপাদন বন্ধ সাময়িকভাবে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) সার্বক্ষণিকভাবে চালু না হওয়া পর্যন্ত এই কারখানা বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
রোববার দুপুরে হালদা নদী দূষণের অভিযোগের ওপর শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক এই আদেশ দিয়েছেন। অধিদফতরের কার্যালয়ে কারখানার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়েছে।
অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারি পরিচালক সংযুক্তা দাশগুপ্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঈদুল আজহার ছুটির সময় এশিয়ান পেপার মিলস থেকে বর্জ্য হালদা নদীতে ফেলা হয়। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১৪ আগস্ট আমরা পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাই। এর আগেও আমরা তাদের অনেকবার সতর্ক করেছি, জরিমানাও করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য তাদের শুনানিতে হাজির থাকার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই নাজুক দেখতে পেয়েছি। প্রতিষ্ঠানটির স্লাজ খোলা স্থানে রাখা আছে। সেখানে থাকা বর্জ্য বৃষ্টির পানিতে গড়িয়ে পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে হালদা নদীতে পড়ে।’
সংযুক্তা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ইটিপি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুন একই অপরাধে এশিয়ান পেপার মিলসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদফতর। এছাড়া বর্জ্য তেল নি:সরণ করে হালদা দূষণের অভিযোগে ‘হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের’ উৎপাদনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ অধিদফতর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন