হেফাজত ইসলামের আরও ২৪ কর্মী গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর মডেল থানায় ঘেরাও ও শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের আরও ২৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪ জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্র মাহাবুবুর রহমান (২৬)। গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতালের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত মাহবুব।
গতকাল রোববার বিকেলে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাহাবুবুর রহমান মোহাম্মদপুর গ্রামের শাহনেওয়াজের ছেলে ও পৌর এলাকার ভাদুঘর মাদ্রাসার কামিল বিভাগের ছাত্র।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাণ্ডবের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৪৯ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি।
৪৯ মামলায় এজাহারনামীয় ২৮৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত ১০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ ৮৪ জন, আশুগঞ্জ থানার পুলিশ ১৩ জন এবং সরাইল থানার পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হামলা করে হেফাজতের সমর্থকরা। এ সময় উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুবুর রহমান। আহত হয়ে সে পালিয়ে কুমিল্লায় চিকিৎসা নেয়। পরে বাড়িতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুলিশ আসামিদের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজতের ৬৪ জন, বিএনপির ৩৭ জন, জামায়াতের ৩ জন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন