১৮ অক্টোবর দেশে-বিদেশে পালিত হতে যাচ্ছে “শেখ রাসেল দিবস-২০২২”
আগামী ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মত ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে দেশে এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস ২০২২।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকাল ৬ টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে। সকাল ৬:৩০ টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সকাল ৭:৩০ টায়পরিকল্পনা কমিশন এর সামনে হতে বিআইসিসি প্রাঙ্গণে পর্যন্ত সকলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হল অব ফেম-এ শেখ রাসেল দিবস-এর উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হল অব ফেম-এ দুপুর ২:৩০ টায় “শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকান্ড, ন্যায় বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার, একই স্থানে সন্ধ্যা ৬ টায় “কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস” অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ১৬ অক্টোবর রাত ৯ টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে “Tragic End of Sheikh Russel: A Shame In Human History” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাংকন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অতিথি পরায়ন, বন্ধুবৎসল ও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর একজন শিশু। শেখ রাসেলের এই অকাল প্রয়াণে সুখ-দুঃখ হয়তো কোনদিন আমাদের শেষ হবে না। শেখ রাসেল দিবসে সারা বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা, তার দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প, সেটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের এই শিশু-কিশোরদেরকে সেই বিজয়ের গৌরবগাথা ইতিহাস থেকে বারবার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা শেখ রাসেল জাতীয় দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছি ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’। এই শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলকে আমরা স্মরণ করতে চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরকে একটি নির্মল শৈশব-কৈশোর এবং একটি নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক খায়রুল আমিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি’র সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ ও এটুআই প্রকল্প পরিচালাক দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ুন।
পরে প্রতিমন্ত্রী অদম্য রাসেল মোবাইল অ্যাপ ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন