২ বছরে কর্তব্যরত ৬৪৯ পুলিশ সদস্য নিহত : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ৬৪৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেছেন, একই সময়ে দায়িত্ব পালনের সময় তিন হাজার ৯৬৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্বরত অবস্থায় তিন বিজিবি সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছেন ২০ জন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ১২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আর নিহত হন ২৮ জন। ২০১০ সালে ১৭৬ জন আহত ও ৪০ জন নিহত হন। ২০১১ সালে ১৯০ জন আহত ও ৫১ জন নিহত হন। ২০১২ সালে ২০৫ জন আহত ও ৩৮ জন নিহত হন। ২০১৩ সালে ২ হাজার ২১০ জন আহত ও ১০৯ জন নিহত হন।
‘২০১৪ সালে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৫ সালে ৩৭২ জন আহত ও ১২৬ জন নিহত হন। ২০১৬ সালে ২৫৯ জন আহত ও ১২৮ জন নিহত হন। ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত ১৫০ জন আহত এবং ২৭ জন নিহত হয়েছেন।’
আসাদুজ্জামান খান জানান, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্তব্যরত অবস্থায় বিএনপি, জামায়াত-শিবির, হেফাজত, দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী জঙ্গিদের হামলায় বিভিন্ন পদবীর নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দুইজনের পরিবারকে ১৬ লাখ করে, ১৭ জনের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা করে, চারজনের প্রতিটি পরিবারকে ৮ লাখ এবং দুইজনের প্রত্যেক পরিবারের অনুকূলে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মের হেফাজতের তাণ্ডবে তাদের কর্মীরা ঢাকায় কর্মরত কনেস্টবল মোহাম্মদ পিয়ারুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও আন্তরিকতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তার চিকিৎসা বাবদ প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিল থেকে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
‘এ ব্যয় ছাড়াও নিহত ও আহত পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কল্যাণ তহবিল থেকে বিধি মোতাবেক আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে এবং পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালের ৬ মে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেক দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে হেফাজত কর্মীদের আকস্মিক হামলায় নিহত বিজিবির দুই সদস্যের প্রতিটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা, বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ও বিজিবির উত্তরা মার্কেটে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে দোকান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরিবার দুইটিকে বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকেও এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ল’ ফার্ম নিয়োগ
নাটোর -২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ল’ ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ছবিসহ তথ্য প্রেরণ পূর্বক ও তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন