২ মাসে সিলেট সীমান্তে ৩ লাখ ৩৪ হাজার কেজি মটরশুটি আটক!
সিলেটের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারীরা আবারও সক্রিয় হয়েছে উঠেছে। বর্তমান সময়ে সীমান্তে সবচেয়ে বেশি পাচার হচ্ছে মটরশুটি। জৈস্তাপুর, জাফলং ও তামাবিল সীমাস্তকে নিরাপদ রুট ভেবে এপথেই এসব পাচার করছে পাচারকারি চক্র।
২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা প্রায় ৫০ বস্তা মটরশুঁটি জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার লামাপাড়া এলাকা থেকে ১ হাজার বস্তা মটরশুঁটি উদ্ধার করে দশ লাখ টাকায় নিলাম করে সহকারী কমিশনার (ভূমি)র নেতৃত্বাধীন মোবাইল কোর্ট।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ বলছে- তারা মেঘালয়ের ওয়েস্ট জৈন্তাপুর হিল ডিসট্রিক্ট এলাকা থেকে গত (১মার্চ) সোমবার রাতে প্রায় ২০ হাজার কেজি শুকনো মটরশুঁটি উদ্ধার করেছে। তাদের দাবি, এটি বাংলাদেশ থেকে সিলেট সীমান্ত হয়ে পাচার হয়ে সেখানে গেছে।
যদিও বাংলদেশের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন- এ ধরণের পাচারের ঘটনা তাদের জানা নেই এবং বাংলাদেশ থেকে এগুলো পাচারের সুযোগও নেই।
বিএসএফ আরো বলেছে, গত দু মাসে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯২ কেজি শুকনো মটরশুঁটি তারা আটক করেছে। এসব পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটকও করা হয়েছে ৮ জনকে।
এর আগে গত ডিসেম্বরের শুরুতে বিএসএফ মেঘালয়ের বাংলাদেশ-ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে ৫৮টি নৌকা ভর্তি প্রায় ৪৫ হাজার কেজি মটরশুঁটি আটক করে ছিলো। প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো এসব মটরশুঁটি বাংলাদেশ থেকেই নেয়া হয়েছিল বলে তখনও বিএসএফ দাবি করেছিল।
মেঘালয়ের সাথে বাংলাদেশের ৪৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত আছে এবং এই সীমান্ত এলাকাটি নদী, জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকা এবং এর সুযোগ নিয়েই পাচারের ঘটনা ঘটে বলে তখন বিএসএফের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছিলেন।
তারও আগে ২০১৯ সালের আগস্টে বিএসএফ আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজিবির কাছে অভিযোগ করেছিল যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চোরাচালানীরা তাদের একজন সদস্যের ওপর হামলা করেছে।
বিএসএফ হামলাকারী চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছিল তখন।
তার কয়েকদিন আগে তিনটি মটরশুঁটি ভর্তি নৌকা ভারতীয় সীমানা থেকে আটক করেছিল তারা। আরও দুটি নৌকা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছিল।
তবে বাংলাদেশের বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, চোরাচালান বন্ধে তারা কাজ করছেন এবং এগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশীদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলেই মনে করেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন