২০২২ সালে দু’মাসে সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনার হার ৪.৮৩, প্রাণহানি ৪.১৫
২০২২ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে প্রাণহানী হয়েছে ৪২ জনের।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠ রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই দুই মাসে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই ঘটেছে ৩৫৮টি, যা মোট দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে নিহত হয়েছেন ৪০৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু ১ হাজার ১২ জনের ২০২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১৪৭ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
জানুয়ারি মাসে ৪৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসে ৪১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৬৯ জন। এই হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ এবং প্রাণহানি কমেছে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
জানুয়ারি মাসে ১৮৭ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১৬ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারী মাসে ১৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৭ জন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন :
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনা গুলোর মধ্যে ৩৫৩টি (৪১ দশমিক ৬২ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৯৫টি (৩৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ১৪৩টি (১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি (৫ দশমিক ৪২ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১১টি (১ দশমিক ২৯ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার ধরন :
দুর্ঘটনা গুলোর ১৫১টি (১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৭৯টি (৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৯৯টি (২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৩টি (১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২৬টি (৩ দশমিক ০৬ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ :
সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
দুর্ঘটনার প্রধান কারণ :
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রদান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা- বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা এবং মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল।
এছাড়াও তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো- জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা- বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে তথ্য গবেষনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন