২৩ জুন থেকে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ জুন থেকে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বেসরকারি মালিকানাধীন ১০-১২টি বিশেষ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে এ সার্ভিসটি পরিচালনা করবে। রোববার দুপুরে এমনটাই জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটি’র যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন।

তিনি জানান, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। থাকছে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবের ব্যবস্থাও। সদরঘাটের নিয়মিত যাত্রী ছাউনির পাশাপাশি ঘাটের চতুর্থ তলায় যাত্রীদের বিশেষ সুবিধার জন্য ১৪ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফুট আয়তনের আরও একটি কক্ষ চালু হচ্ছে। এতে কয়েক হাজার যাত্রী অবস্থান করতে পারবে। এছাড়া থাকবে বিশেষ কেবিনের ব্যবস্থাও।

তিনি আর জানান, ঈদে লঞ্চের নিরাপদ অবস্থান ও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে সদরঘাটের নিয়মিত ২৪টি পন্টুনের সঙ্গে আরও দুটি বাড়ানো হচ্ছে। লালকুটির ঘাট থেকেও ২টি বিশেষ রুটের ব্যবস্থা চালু হবে।

জয়নাল আবেদীন জানান, এ বছর সদরঘাট থেকে ১০-১২টি লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস চালু থাকবে। ২৩ জুন থেকে এগুলো শুরু হবে, যা ঈদের পরবর্তী ১০দিন পর্যন্ত চালু থাকবে।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর সার্ভিসের স্থায়ীত্ব বাড়ানো হয়েছে। কেননা সাধারণ মানুষ ঈদে বাড়িতে অন্তত ১০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করে। ঈদ উপলক্ষে আরও চারটি নতুন লঞ্চ নামছে বলেও জানান তিনি।

সদরঘাট থেকে দূরপাল্লাগামী লঞ্চ, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া-কাজিরহাট, মাওয়া-চরজানাজাত, মাওয়া-মঙ্গলমাঝি, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং লাহারহাট-ভেদুনিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে বিষয়েও নজরদারি রাখা হচ্ছে।

লঞ্চঘাটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘাটে পর্যাপ্ত সিসি টিভি থাকবে। এছাড়া আনসার, ক্যাডেট, পুলিশ, র‌্যাবও থাকবে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ যেন চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে।

প্রতি বছর ঈদ এলেই লঞ্চের ভাড়া বেড়ে যায় এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এবার সে সুযোগ দেয়া হবে না। কেউ এমন করলে লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তির বিধান রয়েছে। ঈদে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে না চলতে পারে সেই ব্যাপারেও দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।