৩৬৭ জন হজে যেতে পারেননি

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছেন সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২২৯ জন। হজ যাত্রী, হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, হজ ডেলিগেড, ধর্মমন্ত্রী ও মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা সহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৬ জন ভিসা পেয়েছিলেন। অবশিষ্ট ৩৬৭ জন সৌদি আরবে যেতে পারেননি। এরমধ্যে ৯৮ জন হজ অফিসে প্রতারণার অভিযোগ দিয়েছেন। বাকি ২৬৯ জনের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। হজ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানান।

অন্যদিকে, ভিসা পাওয়ার পরও প্রতারণার শিকার হয়ে যারা হজে যেতে পারেননি তাদের আগামী বছর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ওই সব যাত্রীদের অতিরিক্ত কোনও অর্থও দিতে হবে না। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের পাঠানো যায়নি।

হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। হজ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (উন্নয়ন) মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, হজ যাত্রী, হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, হজ ডেলিগেড, ধর্মমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৬ জন ভিসা পেয়েছেন। সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ২২৯ জন। অবশিষ্ট ৩৬৭ জন সৌদি আরবে যেতে পারেননি। এরমধ্যে ৯৮জন হজ অফিসে প্রতারণার অভিযোগ দিয়েছেন। বাকি ২৬৯ জনের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এমন হতে পারে তাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ থাকায় স্বেচ্ছায় হজে যাননি কিংবা কারও মাহরাম মারা যাওয়ার কারণে যায়নি। আবার কোনও যাত্রীর নিজেরই মৃত্যু হতে পারে। ফলে সঠিক সংখ্যা নিরুপণে আরও সময় লাগবে।
হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, হজ ডিলেগেডের তালিকায় রয়েছে ১২৭০জন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬৪ হাজার ৮৭৩ জন হজ যাত্রী। হজযাত্রী পরিবহনের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন। বিমান অতিরিক্ত ১হাজার ২৭৪জন হজযাত্রী পরিবহন করছে। বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৪ জুলাই থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৮৭ টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে ১৫২টি ডেডিকেটেড এবং ৩৫টি শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রী পবিত্র ভূমিতে গিয়েছেন।