৪৫ বছর পর ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস উদ্বোধন
৪৫ বছর পর আবারও রাজধানীতে উদ্বোধন করা হয়েছে আর্জেন্টিনা দূতাবাস। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় এ দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। সোমবার বিকেলে বনানীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে এ দূতাবাস উদ্বোধন করেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।
এসময় ক্যাফিয়েরো বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দূতাবাস খোলা হয়। কয়েকবছর পর জান্তা সরকারের সময় অ্যাম্বাসি বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার জন্য অনবরত ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছে। তারা আর্জেন্টিনাকে ভুলে যায়নি, সেজন্যই আবারও দূতাবাস চালু করছি।
দুদিনের সফরে সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকায় পৌঁছেছেন সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোর সফরে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন ছাড়াও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাতার বিশ্বকাপের সময় থেকে বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ নজর পড়ে আর্জেন্টিনার। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক-রাজনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে ঢাকায় আবারও দূতাবাস চালুর বিষয়ে চিন্তাভাবনার কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক নীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ক্লডিও রোজেনওয়েইগ।
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল ও দেশটির সেরা তারকা লিওনেল মেসির অসংখ্য ভক্ত-সমর্থক দেখে অভিভূত হন দেশটির সর্বস্তরের মানুষ। তাদের গণমাধ্যমগুলোতেও বাংলাদেশের মানুষের এ আর্জেন্টিনাপ্রীতি প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের পর অভিনন্দন জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অভিনন্দনবার্তার জবাবে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো।
চিঠিতে আলবার্তো বলেন, ২০২৩ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হবে। দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন উৎপাদক দেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল আমদানি সহজতর হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন