৭০/৭৩’র মতোই নির্বাচন হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের কথা তুলে ধরে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমার মনে হয়েছে এবারের নির্বাচনটা সেই সত্তর সালের যে নির্বাচন বা ৭৩ সালের যে নির্বাচন ঠিক সেই রকমই নির্বাচন হয়েছে।’
বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭০ সালে কিন্তু একটা ২০ দলীয় ঐক্যজোট ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এখনকার অনেকে জানেই না, কারণ অনেকের জন্মই হয়নি। তখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০ দলীয় একটা ঐক্য ছিল। তারা মাত্র দুইটা সিট পেয়েছে, বাকি সব সিট জাতির পিতা পেয়েছিলেন নৌকায়।‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (বঙ্গবন্ধু) জানতেন এটা পাবে। গোটা পাকিস্তানে কিন্তু আওয়ামী লীগ মেজররিটি পেয়েছিল। যাই হোক আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, এবার মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার যে আকাঙ্খা ছিল। একজন বলছে ভোট দিয়েছে। সে বলেছে প্রার্থী কে ছিল সেতো জানি না। আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি।
তিনি বলেন, এটা দেখেছিলাম সত্তরের নির্বাচনে ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে। কাকে ভোট দেবে সেটা না, যে শেখ মুজিবের নাও (নৌকা), শেখের নৌকাতে ভোট দিবে।… নৌকা ছাড়া কিছু বোঝে না, শেখ মুজিব ছাড়া কিছু বোঝে না।
ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সমর্থন আমাদের ভোট পেতে সহযোগিতা করেছে।
বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দু:খজনক যে- একটা অপজিশন তাদের আচার-আচারণটা ছিল খুব পিকিউলিয়ার। কারণ তারা যেভাবে নমিনেশন দিয়েছে, মানে এটা ঠিক ইলেকশন করার জন্য না।’
ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে এভাবে হেরেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাহলে আপনারা চিন্তা করুন এই যে নমিনেশন যাচ্ছে বার বার কিসের বিনিময়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা যারা ঘটায় তারা ভোটেই বা পাবে কি? আর নির্বাচনই বা করবে কি? এটাতো রীতিমত ট্রেড, ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে গেছে।‘
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা অপজিশন শক্তিশালী দরকার হয় গণতন্ত্রের জন্য। কাজেই আমরা এজন্য চাচ্ছিলাম যে অপজিশনটা অন্তত ভালোভাবে হোক। এভাবে নমিনেশন বিক্রি করলে তো অপজিশন হওয়ার সুযোগ তো কমই থাকে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছিলেন। একটাই লক্ষ্য আমার, আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই। আমি কিছুই চাই না। বাংলাদেশের মানুষের ঘর হবে, তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। তারা রোগে চিকিৎসা পাবে, তাদের খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, নিরাপত্তা পাবে এটাই চাওয়া। মানুষের এই যে সমর্থন, ভালোবাসা এটাই তো আমার সম্পদ, বাপ-মা ভাই বোন হারিয়ে আর কিছুই তো আমার নেই। এইটুকু আমি পাচ্ছি, এটাতো সবচেয়ে বড় পাওয়া।
এই যে মানুষের বিশ্বাস, আস্থা। এই বিশ্বাসের মর্যাদা যেন আমি দিয়ে যেতে পারি, আল্লাহর কাছে সেই দোয়াটা করবেন, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন