৭১’র নায়ক বঙ্গবন্ধু, খলনায়ক ভুট্টো : দ্য ডনের প্রতিবেদন
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙ্গালি জাতির গৌরবের দিন। বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসের দিন আজ । সবচেয়ে বড় অর্জনের দিন আজ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের দিন। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা আর নির্যাতনের শেষদিন আজ। সারাদেশে মানুষ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন। অন্যদিকে সেই পাকিস্তানিরা কী করছে? কী ভাবছে তারা দিনটি নিয়ে? পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত দৈনিক দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার চিত্র। দ্য ডন অবলম্বনে রিপোর্টটি তৈরি করেছেন একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক মোহাম্মদ জুয়েল-
১৯৭০-’৭১ সালে কেবল ইয়াহিয়া খান একা কোনো রাজনৈতিক খেলা খেলেননি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী পত্রিকা দ্য ডন। সেই খেলায় নায়ক-খলনায়কের ভূমিকা পালন করেছে যথাক্রমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। আর সেই খেলায় মারাত্মক গুটি চেলেছেন জুলফিকার আলী ভুট্টো।
দ্য ব্রেক-আপ অব পাকিস্তান শিরোনামে লেখা ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইয়াহিয়া খান দুটি কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। একটি ৭০’র নির্বাচন অন্যটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চালানো গণহত্যা। আর এ দুই ঘটনায় আজকের বাংলাদেশে নামক রাষ্ট্রটির জন্ম দিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৬০ সালের পর থেকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কেবল পূর্ব পাকিস্তানেই নয়, পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যেও আওয়াজ উঠতে থাকে। তবে কি কারণে কিংবা কারা এর পেছনে ইন্ধন দিয়েছিল সেই প্রশ্ন আজও অজানা। একইসঙ্গে সামরিক শাসনের অধীন পুঁজিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে বলা হচ্ছে, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অসন্তোষ তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য তখন থেকে সোচ্চার হতে থাকে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আর এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই আইয়ুব খান ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচ ও পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সর্বপ্রথম বিচ্ছিন্নতার পক্ষে রব উঠে। এই সুযোগে জেনারেল ভুট্টো পাকিস্তানের ছাত্র সমাজ, শ্রমিক শ্রেণী ও নব্য মধ্যম আায়ের মানুষদের আইয়ুব খানের বিপক্ষে উসকে দেয়। ভুট্টোর এই চেষ্টাকে পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হিসেবে দেখেছেন।
১৯৬৬ সালের পর থেকে ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি হয়ে ওঠেন। তবে তিনিই সেই সামরিক সরকারের অন্যতম সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
পূর্ব পাকিস্তানে মাওলানা ভাসানী প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের জন্য রব তোলেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বায়ত্ত্বশাসন ও গণতন্ত্রের দাবিতে ছয় দফা দাবি উত্তোলন করেন। পরে জান্তা সরকার তিনিসহ পূর্ব পাকিস্তানের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালে আগঢ়তলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। কিন্তু পরবর্তীতে সে মামলা থেকে শেখ মুজিব মুক্তি পান। আর শেখ মুজিবের সেই ছয় দফার মধ্য দিয়েই পূর্ব পাকিস্তানে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের উত্থান হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আর সেই ছয় দফার মধ্য দিয়েই সামরিক শাসক আইয়ুব খানের যুগের ইতি ঘটে। বলা বাহুল্য পূর্ব পাকিস্তানে যখন ধীরে ধীরে স্বাধীনতার পক্ষে আওয়াজ উঠছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও পর্যন্ত গণতান্ত্রিক অখণ্ড পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছেন। তবে পূর্ব পাকিস্তানের অনেক বুদ্ধিজীবীর এই ধারণা ছিল যে, পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের ‘কলোনি’ হতে যাচ্ছে। তাই তারা স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার হতে থাকেন।
এমতাস্থায় জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ আইয়ুব খান সরকারের ক্ষমতাচ্যুতদের পরামর্শে ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে সমগ্র পাকিস্তানে ৩৬০ আসনের মধ্য জনসংখ্যার গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৬২টি আসনে ভাগ করেন। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে আসন সংখ্যা থাকে ১৩৮টি।
আইয়ুব খান সরকারের পতনের পর ইয়াহিয়া খানও সামরিক শাসন জারি করেন। তাঁর নির্বাচন আয়োজনের কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক সরকারের গোয়েন্দারা ইয়াহিয়া খানকে এই মর্মে আশ্বস্ত করে যে, পাকিস্তানের কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই মূল ক্ষমতা কখনোই সামরিক শাসকদের হাতছাড়া হবে না। এমতাবস্থায় বিশৃঙ্খল পাকিস্তানে আবারও সামরিক শাসকগণ ক্ষমতায় আসবেন বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানানো হয়। একইসঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে ওই দলগুলোর জনপ্রিয়তা যাচাই করাও ছিল আমলা ও সামরিক কর্তাদের একটি বড় সুযোগ।
কিন্তু নির্বাচনের আগে পূর্ব পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে দুই মাসের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের ৭ তারিখ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে ১৯৭০ সালের নভেম্বরে পূর্ব পাকিস্তানে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে দুই লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন। এতে আবারও নির্বাচনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পাঞ্জাবি ও মুজাহির সামরিক-আমলা প্রশাসনের ব্যবহারে পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দকে হতাশ করেছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের প্রতি ঘৃণা আর ক্ষোভের বীজ পাতা মেলে উঠে। পাকিস্তানের গবেষকরা বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশটি স্বাধীনতার পর থেকে নির্বাচন না দেওয়ার একমাত্র কারণ পাঞ্জাবি-মুজাহিরদের ক্ষমতা হারানোর ভয়।
তবে তাদের ভয়-ই সত্য হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় লাভ করলে তাদের ভয় আরও বেড়ে যায়। ১৬২ আসনের ১৬০টিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয় লাভ করলে সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮ আসনের মধ্যে ৮১ আসনে ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি জয়লাভ করে। তিনি মূলত সিন্ধু ও পাঞ্জাব রাজ্যে জয় লাভ করেন। তবে ১৯৭০ সালের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় আসে তখন, যখন কোন দলই অন্য শাখায় একটি আসনেও জয়লাভ করতে ব্যর্থ হয়। এই ভোটের মাধ্যমেই পাকিস্তানের আক্ষরিক বিচ্ছেদ ঘটে বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।
এদিকে পাকিস্তানের বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের সামরিক শাসক ও আমলাদের ‘ইগু’র কারণেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত্রি নেমে এসেছিল। পশ্চিম পাকিস্তানিরা যখন অপারেশন সার্চ লাইটের নামে বর্বরতা চালিয়েছিল, তখনই বুঝা গিয়েছিল যে সামরিক নেতৃত্ব পূর্ব পাকিস্তানিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিপক্ষে কতোটা ভয়াবহ হতে পারে। পূর্ব পাকিস্তানিদের হাতে পুরো পাকিস্তানের ক্ষমতা দেওয়াকে নিজেদের জন্য অপমান বলে মনে করেছিলেন ওইসব নেতা।
নির্বাচনের ফলাফলের পর জেনারেল ভুট্টো পাকিস্তানের জন্য দুই জন প্রধানমন্ত্রী রাখার পক্ষে জোরালো প্রচারণা শুরু করেন। তবে ইয়াহিয়া খান ওই সময় ঢাকায় এসে শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রস্তুত হতে বলেন। কিন্তু ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার পরই জেনারেল ভুট্টোর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লার্কানাতে যান তিনি। সেখানে ভুট্টো পুরো পাকিস্তানের কর্তৃত্ব মুজিবের হাতে তুলে না দিতে পরামর্শ দেন।
ওই বৈঠকের পরই শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতে জেনারেল ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে উড়ে আসেন। তাঁদের মধ্যে আলোচনা হলেও তা ব্যর্থ হয়। তবে পাকিস্তানের গবেষকরা বলছেন, ওই সময় ভুট্টোকে পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার জন্য অনেক সামরিক কর্মকর্তাই তাকে ফোন করেন। ওই সময় ভুট্টো ঘোষণা করেন, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, পশ্চিম পাকিস্তানে নির্বাচিত কোনো এমপি যদি ঢাকার দিকে পা বাড়ান, তাঁর পা গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
১৯৭১ সালের মার্চের ৩ ডিসেম্বর ইয়াহিয়া খান ঢাকায় অ্যাসেম্বলি ডাকেন। তবে ওই অ্যাসেম্বলিতে কোন পাকিস্তানি সাংসদ উপস্থিত না হতে ভুট্টো ওই হুমকি দিয়েছিলেন যাতে অ্যাসেম্বলি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। এক সাংবাদিক বলেন, ভুট্টো শেখ মুজিবুর রহমানকে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ইডহার হাম, উডহার তুম ( এপার আমার আর ওপার তোমার)। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা মানেন নি। তিনি পুরোপুরি স্বায়ত্ত্বশাসনের পক্ষে আরও জোরালো হন। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এরই মধ্য দিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ঢাকায় অবস্থানকালে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে জেনারেল টিক্কা খান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করেন। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের গবেষকরা ২৫ মার্চের রাতের পর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক ইতিহাস লিখেছেন। তবে সবাই বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের লেখকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যাপকহারে গণহত্যা ও ধর্ষণ হয়েছে। আর এ ঘটনা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ।
পাকিস্তান মর্নিং নিউজের সংবাদ দাতা ও লন্ডনের সানডে টাইমসের স্বাধীনতাকালীন প্রতিবেদক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের লেখায় বিশ্ববাসীর কাছে সর্বপ্রথম গণহত্যার বিষয়টি সামনে আসে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ হ্যারিসন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে এক কনসার্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমেরিকাসহ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয় পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যার কথা। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব কেন পূর্ব পাকিস্তান বিষয়ে চুপ আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তৎকালীন সময় আমেরিকানদের কাছে মাও সেতুং এর চীনা আদর্শ একটি বড় ফ্যাক্টর ছিল। তাই পাকিস্তান তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। তবে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা অনেক নিরীহ বিহারি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার বিহারী স্বাধীনতার পরপরই মুক্তি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ভারতে আশ্রয় নেন। নিরাপত্তার জন্য লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতে হামলা চালালে ভারতীয় বিমান বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে হামলা শুরু করে। এমতাবস্থায় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর পূ্র্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে খবর যাচ্ছিল যে, পশ্চিম পাকিস্তানিরা যুদ্ধে জয়লাভ করতে যাচ্ছে। তবে এ সংবাদের একদিনের মাথায় জেনারেল নিয়াজি ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। ওই সময় ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন জগজিৎ সিং অরোরা। এরপরই পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশে রূপান্তর হয়। এর মধ্যদিয়ে জিন্নাহর দ্বি জাতি তত্বের অবসান ঘটে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন