ইসির কথায় আশ্বস্ত এরশাদ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথায় আশ্বস্ত হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

ইসির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আশান্বিত, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, গ্রহণযোগ্য হবে, নিরপেক্ষ হবে। ওনাদের (ইসি) কথায় আমার বিশ্বাস হয়েছে, ওনারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যাতে নির্বাচনটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। আমি ওনাদের কথায় বিশ্বাস করি। মনে প্রাণে আল্লাহর কাছে দোয়া চাই, তাদের আশ্বাস যেন আল্লাহ পূরণ করেন।’

সোমবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এস নূরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে দলটি। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চেয়্যারম্যান নিজেই।

বৈঠক শেষে এরশাদ আরো বলেন, ‘পাবলিক পারসেফশন হলো- সেনাবাহিনী যদি মোতায়েন করা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা তাই বলেছি, যেহেতু জনগণ চাচ্ছে তাই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হোক।’

বিএনপির দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সে তো সরকার করবেন এবং গতবারও তাই করেছিলেন, আশা করি এবারও করবেন। এটা ওনাদের (ইসি) এখতিয়ারভুক্ত নয়।’

এরশাদ জানান, ইসি বলেছে, যদি তাদের মনে হয় কোনো সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচনের বিরুদ্ধে কাজ করছেন বা কোনো দলের পক্ষে কাজ করছেন তখন তারা শক্ত পদক্ষেপ নেবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আলোচনা ভালো হয়েছে, সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা আশান্বিত হয়েছি। আমার মনে হয় ওনাদের সদিচ্ছা আছে এবং ওনাদের নাম ওনারা ইতিহাসের পাতায় লিখে যেতে চান। এটা আমি বিশ্বাস করি।’

বিএনপির বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘যেহেতু যারা সংসদে আছে সেসব দল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার হবে। বিএনপি সংসদে নেই। তাই দুঃখজনক ঘটনা হলেও বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারে থাকতে পারবে না।’

বৃহৎ দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোহণযোগ্য হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসবে বলে আমি আশা করি। বৃহৎ দল কি না বলতে পারি না। বৃহৎ দল অন্যরাও হতে পারে। আমরাও হতে পারি। এজন্য এটা বলতে পারব না। তবে সেটা জনগণ ঠিক করবে।’

আবারো কী নির্বাচন বিএনপিকে বাদ দিয়ে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করে বলব?’

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুইবার গিয়েছিলাম। ত্রাণ দিয়েছি। কিন্তু যত রোহিঙ্গা আসছে, আমাদের জন্য এদের ব্যবস্থাপনা করা কঠিন কাজ হবে। আমি দোয়া করি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি যেন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন করতে পারেন। কিন্তু কাজটা সহজ হবে না। আমরা কোথাও সমর্থন পাইনি। চাই না। রাশিয়া, এমন কি বন্ধু দেশ ভারতও আমাদের সমর্থন দেয়নি। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক বেলা খেতে হয় খাব। ওনাদের (রোহিঙ্গা) খাবারের ব্যবস্থা করব। আশা করি তাদেরকে পুনর্বাসন করতে আমরা সক্ষম হব।’

রাজনৈতিক সংলাপ আরো দরকার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যথেষ্ট হয়েছে। ইসি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আমরা সবাই সন্তুষ্ট। ওনারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটা ভালো নির্বাচন করার জন্য।’