বাস থেকে নামিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

প্রাণনাশের আশঙ্কা করে মামলা করেছিলেন যুবলীগ নেতা। সাক্ষী ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। আর সে মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাওয়ার সময় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকেই।

সোমবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শাকিল। তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। তিনি আলকরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানান, বাস থেকে নামিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধরে নিয়ে শাকিলকে পেটানো হয়েছে। পরে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পর তারা ফেনী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকায় আনার পথে মৃত্যু হয় তার।

শাকিল যে মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন সেটি করেন আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন। প্রধান আসামি ছিলেন আবদুর রহমান নামে একজন। আর তার নেতৃত্বেই এই হত্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন নিহতের স্বজনরা।

সকালে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ফেনী থেকে মদিনা বাসযোগে কুমিল্লার আদালতে স্বাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথায় আবদুর রহমান ও আলমের নেতৃত্বে আমির হোসেন, শুভ, রিয়াজ, কফিল উদ্দিন, বাহাদুর ও ইকবালসহ ৮-১০ জনের একটি দল তাকে বাস থেকে নামায়।

পরে মাইক্রোবাসে করে ফেনীর শর্শদি দীঘির পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয় শাকিলকে। সেখানেই সন্ত্রাসীরা শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ের তারা শাকিলকে মৃত ভেবে চলে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার শেষে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘আমি সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লায় চলে আসি। হাজিরা শেষে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করি। শুনেছি-ছাত্রলীগের এক ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে।’

যার বিরুদ্ধে হামলায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সেই আবদুর রহমানের চাচা হন এই বাচ্চু। এই ঘটনায় তাকেও ফাঁসানোর জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, ‘আমরা এখনও ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হইনি। তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে পরে জানাতে পারব।’