বয়স ১০৪ : এই বয়সেও তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়

রাবেয়া খাতুনের বয়স এক’শ বছর পার হয়েছে। এই বয়সেও তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। প্রায় ১৮ বছর ধরে এক মামলায় তিনি ভুগছেন। তাই ‘আর বাঁচতে চান না’ বলে বুধবার (২৬ জুন) জানিয়েছেন হাইকোর্টকে।

গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে রাবেয়াকে নিয়ে ‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও রিয়াজুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাবেয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাটি হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে মামলার কার্যক্রম পরিচালনাকারী ঢাকার ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ৩ জুলাই তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বুধবার হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুন। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের হাজির হতে এসেছিলেন নাতির হাত ধরে লাঠিতে ভর দিয়ে।

রাবেয়া আদালতে তিনি বলেন, ‘পুলিশরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দিই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।

রাবেয়ার দাবি, বর্তমানে তার বয়স ১০৪ বছর। তবে মামলায় যে বয়স উল্লেখ করা হয়েছে তাতে তার বয়স দেখানো হয়েছে ৭৭ বছর।