মন্ত্রীর পা ধরেও চাষাঢ়া-আদমজী সড়কের কাজ শুরু করা যায়নি

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি তার হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে এসেছি, তার পায়ের কাছে বসে রাজনীতি শিখেছি। তিনি এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া-আদমজী সড়কের কাজ শুরুর জন্য তার পায়ের কাছে বসে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিন বছর চেষ্টা করেও চাষাড়া থেকে আদমজি পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে পারিনি।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের জন্য সময় চেয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী নিজে সেখানে গেছেন। তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছিলেন। ওই রাস্তাটি হলে ছয় লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে। তাই তার পায়ে ধরতে আমার একটুও খারাপ লাগেনি। কারণ আমি তার পা ধরেছি জনগণের জন্য। এরপরও কাজ হয়নি। এখন আমার করণীয় কী?

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চাষাঢ়া-আদমজী সড়কের কাজটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে। জায়গাটি রেলের। আমি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কাজটি দ্রুত শুরুর জন্য আবার পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো।

এর আগে শামীম ওসমান বলেন, চাষাঢ়া-আদমজী রাস্তাটি আগে রেলওয়ের ছিল। রেলওয়ের কাছ থেকে জায়গাটি অবমুক্ত করতে দুই বছর সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, মন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম ওই রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে। মন্ত্রী ডিপিপিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। ডিপিপিতে কিছু ত্রুটি থাকায় পরিকল্পনা কমিশন সেটি ফেরত দিয়েছিল। ত্রুটি সংশোধন করে আবারো পরিকল্পনা মন্ত্রণালায়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি ৪-৫ মাস হয়ে গেছে।

এরপর জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ওই সড়কের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জে জনসভা শেষেই সেখান থেকে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ওই সড়কের কাজ দ্রুত শুরুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।