রাজধানীর বাজারে শীতের আগাম সবজি, দাম চড়া

ঋতুর পরিক্রমায় শীত আসতে আরো বেশ কিছু দিন দেরি আছে। কিন্তু শীতের আগমনের আগেই বাজারে এসেছে শিম, টমেটো, ফুলকপি। সিজন না হওয়ায় বাজারের অন্যান্য সবজির তুলনায় এগুলোর দামও চড়া। এদিকে, বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের।

শুক্রবার রাজধানীর মেরাদিয়া হাট ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসা নতুন শিম প্রতি কেজি ১২০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভাল মানের ফুল কপি প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেশি।

এ ছাড়া পটল ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙা ৩৫ টাকা, কাকরোল ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কচুর লতি কেজি ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কচু মুখী ৫০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রকারভেদে প্রতিটি ৩৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, পুঁই শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮৪-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম অয়েল প্রতি কেজি ৭৪-৭৫ টাকা, পাম অয়েল সুপার ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

এদিকে, কোরবানির ঈদের পর ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া দেশি মুরগি ২২০ থেকে ৪০০ টাকা পিস, লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি আকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের পর বৃষ্টি বাড়ার সাথে বাজারে ইলিশের সরবরাহও বেড়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ১ কেজি বা ১২০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১ শ থেকে ১২ শ ৫০ টাকা।

এ ছাড়া রুই মাছ ৩৫০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি মাছ ৩৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, আড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে বাজারে শীতের আগাম সবজির দাম চড়া হলেও অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে মোটামোটি সহনীয় পর্যায়ে।