সৌদিকে কী শাস্তি দেবে যুক্তরাষ্ট্র?

সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ ও যুবরাজের কঠোর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগির গুম হওয়ার ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ বাড়ছে।

জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়ে থাকলে সৌদি আরবকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সৌদি আরব সফর করার ও সৌদি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে ১০০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের পর ট্রাম্পের সুর বদলে যায়।

জামাল খাশোগি হত্যার সঙ্গে সৌদি যুবরাজ সংশ্লিষ্ট এবং তারই ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারাই খাশোগিকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলেও এখনো তা মানতে নারাজ ট্রাম্প।

ফলে যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরবের সব ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা থাকায় ওয়াশিংটন এ রাজতান্ত্রিক সৌদি সরকারকে কখনোই শাস্তি দেবে না বলে মন্তব্য করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্কলার এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার ড. ডেনিস এলটার।

এলটার বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যাতে তার এ জঘন্য অপরাধ থেকে পার পেয়ে যান তার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সৌদি আরবের শক্তিমান পুরুষ বিন সালমান ভালো করেই জানেন যে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় বাইরে থেকে কেবল ক্ষোভ প্রকাশ করবে এবং তার মারাত্মক অপরাধের বিষয়ে ওয়াশিংটন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করবে না।