অর্থপাচারের মামলায় এনু-রূপনের ৭ বছর কারাদণ্ড
অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রূপন ভুঁইয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের ৫২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ টাকা আদায় না হলে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আর এ মামলায় জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেবকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমির হোসেন রায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এনু-রূপনের আইনজীবী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা শুধু দেশের অর্থ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ, স্বপ্নও চুরি করেছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করা এবং সামাজিকভাবে বয়কট করা।
২০২০ সালের ৩১ আগস্ট সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ রাজধানীর বংশাল থানায় এ মামলা করেছিলেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হলেও পরে অভিযোগপত্র থেকে তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ছয়জনকে কারাগার থেকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আর মামলার বিচারে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় বলে জানান আদালতের পেশকার ফজলুর রহমান।
ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো বন্ধে অভিযানের মধ্যে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় এই দুই ভাইকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জমির দলিল, গাড়ি ও ব্যাংক হিসাবের কাগজপত্রসহ নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের ১০ দিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত রাজধানীর ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিট এলাকায় এনু-রূপনের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানে দুই ভাইয়ের বাসার সিন্দুক থেকে নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর বাইরে ১ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।
এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ওয়ারী থানায় অর্থপাচারের মামলায় এনু-রূপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে আছেন দুই ভাই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন