আফরিনে নেমেছে তুরস্কের নারী যোদ্ধারা
সিরিয়ার আফরিনের তুরস্কের চালানো ‘অপারেশন অলিভব্রাঞ্চ’ এ দেশটির নারী সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। আফরিনে অভ্যন্তরে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় তারা সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে কাজ করছেন। একই সঙ্গে সেখানে মোতায়েনকৃত সেনা ইউটিনগুলোর সার্বিক দেখভাল করছেন তারা। খবর ডেইলি সাবাহর।
যেসব নারী যোদ্ধা অপারেশন অলিভব্রাঞ্চে অংশ নিয়েছেন তাদের অনেকেই ইতিপূর্বে অপারশন ইউফ্রেটিস শেল্ড এ অংশ নিয়েছিলেন। এবার তাদের সঙ্গে কয়েকজন নতুন নারী যোদ্ধা পাঠানো হয়েছে। অপারেশন অলিভব্রাঞ্চের এক আর্টিলারি ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী যোদ্ধা দিলেক আয়ান।
তিনি হোয়েতজার নামের এক ধরণের অস্ত্র ব্যবহারের দায়িত্বে রয়েছেন। ওই অস্ত্র দিয়ে ৪০ কিলোমিটারের অভ্যন্তরের যেকোনো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা যায়। আয়ান বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা এ অস্ত্রের প্রয়োগ করছি। এটি খুবই ফলপ্রসূ এবং ব্যবহারে নিরাপদ।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার আফরিনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় কুর্দি যোদ্ধা ওয়াইজিপির ৩০ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা ফাঁস হয় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কয়েকটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হবার পরপই তুরস্কের এরদোগান সরকার নড়েচড়ে বসে। তুরস্ক দীর্ঘ দিন ওয়াইজিপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ওই খবরের পর অঙ্কুরেই তাদের নির্মূল করতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক।
অভিযানে এ পর্যন্ত তুরস্কের ৪১ সেনা নিহত হয়েছে। অপর পক্ষে ওয়াইজিপির শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ওয়াইজিপির হামলায় তুরস্কের ৮ সেনা নিহত হয়। শুক্রবার সেনাদের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। নিহতদের শহীদ আখ্যায়িত করে শুক্রবার জুমা নামাজের পর তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন