আবারো এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি জনগনের স্বার্থ পরিপন্থি : বাংলাদেশ ন্যাপ

আবারো তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি দেশের জনগনের স্বার্থ পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা বলেছেন, এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। আর সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। এভাবে এলপিজি’র মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে এই সরকার জনগনের নয়, লুটেরাগোষ্টির স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুঃসহ ভোগান্তি তৈরি করেছে। সরকারের দুর্নীতি ও সরকারি দলের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের অনৈতিক মুনাফার জন্য এলপিজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্র্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

তারা বলেন, অবিলম্বে ভোক্তা পর্যায়ে এইসব পণ্যের মূল্য হ্রাস করে বিশেষ করে তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি বাতিল করে- তা পূর্বের মূল্য স্থির করতে হবে। অন্যতায় জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প থাকবে না।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, যেখানে স্বয়ং সরকারি সংস্থাই বলছে, বড় জাহাজে করে গ্যাস আনা গেলে সিলিন্ডার প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা কম রাখা সম্ভব। সেখানে আবারও বিইআরসি’র মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের অনৈতিক ও অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ করে দিচ্ছে।

তারা বলেন, সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদন না করে একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে জনগণের পকেট কেটে লুটেরাগোষ্টির পকেট ভারী করার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। অথচ যথাযথভাবে গ্যাস উত্তোলন করে সরকারি উদ্যোগে সাশ্রয়ী দামে ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু সরকার সেই পথে না হেঁটে, জনগণের স্বার্থের বিপরীতে লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার পথে হাঁটছে।

নেতৃদ্বয় এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে, গ্যাস খাতের দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা দূর করে দেশের গ্যাস দেশবাসীকে সাশ্রয়ী মূল্য দেওয়ার আহবান জানান।