আল্লামা শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি
আলেমদের খেদমতের জন্য আল্লামা আহমদ শফিকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শোলাকিয়ার ইমাম ও আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানান তিনি। শোকরানা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল পৌনে ১১টায় তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশে হাজির হন।
এ সময় সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে আগতদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। পরে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওয়াদা করলে রক্ষা করেন। তার দিল (হৃদয়) অনেক বড়। তিনি কওমী দরদী জননী। মাদরাসার স্বীকৃতি দিয়ে তিনি ইসলামের খেদমত করলেন।
‘আমি আরও দুটি আরজ (দাবি) করবো, এক, সারাদেশে ইমামদের ৫ হাজার ও মোয়াজ্জিনদের ৩ হাজার করে ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। দুই, এ পর্যন্ত কোনো আলেমকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। আল্লামা আহমদ শফি সাহেব, যিনি কওমী আলেমদের খেদমতে নিয়োজিত, তিনি সারাদেশের আলমদের ঐক্যব্ধ করেছেন। এজন্য তাকে স্বাধীনতা পদক দেবেন’।
উল্লেখ্য, দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমান মর্যাদা দেয়ায় সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা রয়েছে। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পরিচালনাধীন আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
শোকরানা সমাবেশ ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসা থেকে গাড়ি নিয়ে দলে দলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমাবেশস্থলে আসেন। সমাবেশস্থল আলেম-ওলামাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও পার্কিং জোন ছাপিয়ে সড়কে গিয়ে মিশেছে জনস্রোত। আয়োজকরা আগেই জানিয়েছেন, শোকরানা সমাবেশে ১০ লাখের বেশি লোক উপস্থিতি হবেন।
এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই শোকরানা সমাবেশ শুরু হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন