ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে নামিবিয়া

প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে এসে ইতিহাস গড়লো নামিবিয়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে আট উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে আফ্রিকা মহাদেশের দলটি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে প্রথমবারেই মূল পর্বে স্থান করে নিলো তারা। পুচকে নামিবিয়ার সঙ্গে হেরে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিলো টেস্ট খেলুড়ে দল আইরিশরা।

আজ শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। ফিল্ডিং পেয়ে সন্তুষ্টির ঢেঁকুর তোলেন নাবিমিয়ার অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাস। ব্যাট করতে এসে দুর্দান্ত শুরুর পর হঠাৎ দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। বড় আশা জাগালেও মাত্র ১২৫ রানে থামে তারা।

জবাবে নির্ধারিত ওভারের নয় বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নামিবিয়া। এতেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে ভারত-পাকিস্তান গ্রুপে জায়গা করে নিলো তারা। এই অর্জনের জন্য অবশ্য কৃতিত্ব পাবেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ব্রাত্য হয়ে নামিবিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে আসা ডেভিস উইসে। এই অলরাউন্ডার খেলেন ১৪ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস। অন্যপাশে থাকা অধিনায়ক এরাসমাস খেলেন ৪৮ বলে ৫২ রানের লড়াকু ইনিংস।

আইরিশদের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে এসে সাবধানতার সঙ্গে শুরু করেন ওপেনার জেন গ্রিন ও ক্রেইগ উইলিয়ামস। কিন্তু মাত্র ২৫ রানের মাথায় এই জুটিকে থামান কার্টিস কাম্পার। ১৫ রান করা উইলিয়ামসকে কেভিন ও’ব্রায়েনের চোখ ধাঁধানো তালুবন্দি করেন তিনি।

তিনে আসা জেরহার্ড এরাসমাসের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জেন গ্রিন। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় তাকে ফিরিয়ে দলকে দারুণ এক ব্রেক থ্রু এনে দেন কাম্পার। ৩২ বলে ২৪ রানের ধীর গতির ইনিংস খেলে ফেরেন এই ওপেনার। বল আর রানের ব্যবধান বেড়ে চাপে পড়া নামিবিয়ার ত্রাতা হয়ে ক্রিজে এসে পরপর দুই ছক্কায় ক্রিগ ইয়ং থেকে ১৬ রান আদায় করেন ডেভিড উইসে।

একপাশে থাকা অধিনায়ক এরাসমাসের প্রতিরোধী অর্ধশতকের পর জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় নামিবিয়া। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে বড় ছক্কায় দলকে বিশ্বকাপ মঞ্চে তোলেন ১৪ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা ডেভিড উইসে।

এর আগে ব্যাট করতে এসে ঝড়ো শুরু করে আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার পল স্টারলিং ও কেভিন ও’ব্রায়েন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে এই যুগলের ব্যাটে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ৫৫ রান। এরপর অবশ্য থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান স্টারলিংকে ফিরিয়ে ৬২ রানের এই জুটি ভাঙেন বার্নার্ড স্কোল্টজ। ২৪ বলে ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন স্টারলিং। খানিক পরই আরেক ওপেনার ও’ব্রায়েনকে ফেরান জান ফ্রাইলিংক।

তিনে এসে ২১ রান করা অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকে দ্বিতীয় শিকার বানান ফ্রাইলিংক। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আইরিশদের উইকেট তুলতে থাকেন ফ্রাইলিংক ও ডেভিড উইসে। বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা দেখালেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ১২০ রানে থামে আইরিশরা।