ইসির আরও ৪০ টেকনিক্যাল এক্সপার্টের ‘পদত্যাগ’
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। নতুন করে এই বিভাগের আরও ৪০ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সহকারী এক্সপার্ট পদত্যাগ করেছেন। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আরও ৩২ জন পদত্যাগ করেন। সব মিলে মোট ৭২ জন পদত্যাগ করলেন।
সোমবার ওই ৪০ কর্মকর্তা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন।
চিঠির বিষয়বস্তু হিসেবে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের সভা নং ৪৬/২০১৩ এর সিদ্ধান্তের আলোকে পদের নাম ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন করণসহ আইডিইএর প্রকল্পের চাকরি মেয়াদ শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত চাকরির মেয়াদ পুনরায় বৃদ্ধি না করার প্রসঙ্গে’।
টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সহকারী এক্সপার্টরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাদের আশ্বস্ত করা হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই ‘পদত্যাগ’-এর চিঠি দেন তারা।
আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস প্রকল্পে (আইডিইএ) কর্মরত এসব টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এনআইডি সংশোধন, স্মার্টকার্ডসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছিলেন।
এভাবে গণপদত্যাগের ফলে এনআইডি সেবা বিবিঘ্ন ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে একাধিক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিগত কাজী রকিব কমিশন ও বর্তমান সিইসি তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের কথা বললেও এনআইডির কিছু পদস্থ কর্মকর্তার গড়িমসির কারণে তা থমকে আছে। বারবার আশ্বস্ত করা হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা পদত্যাগ করছেন।
২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন (পিইআরপি) প্রকল্পে টেকনিক্যাল ম্যানেজার, সহকারী টেকটিক্যাল ম্যানেজার ও টিম লিডার হিসেবে কাজ করে আসছেন ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদমর্যাদার প্রায় ১০০ জন। পরবর্তী সময়ে তারা আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস প্রকল্পে (আইডিইএ) কাজ করছেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানাস্তরের আশ্বাস দেওয়া হয়। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে এ প্রকল্পের মেয়াদ। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে। এই লক্ষ্যে করা আরডিপিপিতে টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের ‘সহকারী প্রোগ্রামার’ ও টেকনিক্যাল সাপোর্টদের ‘ডেটা এন্ট্রি সুপারভাইজার’ পদমর্যাদার গ্রেড প্রদানের দাবি করেন তারা।
ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের এসব কর্মকর্তার এনআইডিতে প্রয়োজন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, স্মার্টকার্ড ও এনআইডি সংশাধনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের প্রয়োজন। তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই অসন্তোষ। এ নিয়ে তারা সিইসি ও ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে দাবির কথা জানিয়েছে। তখন বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন এনআইডি ডিজি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন