ঈদে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সগুলো
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকে সড়ক, রেল বা নদীপথে। তবে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা অল্প সময়ে স্বাচ্ছন্দে ঘরে ফিরতে আকাশপথকেই বেছে নিচ্ছেন। ফলে দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর চলছে রমরমা ব্যবসা। ইতোমধ্যে শেষ হয়ে শিডিউল ফ্লাইটের টিকেট। যাত্রীর চাপ সামলাতে প্রতিটি এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের চারটি এয়ারলাইন্স— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ৭টি রুটে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করে। সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল, সিলেট, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গত ২৫ মার্চ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে সপ্তাহে ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সপ্তাহে ৩২টি, ঢাকা-যশোর রুটে ৮টি, ঢাকা-বরিশাল রুটে ৩টি, ঢাকা-সিলেট রুটে ৩৪টি, ঢাকা-রাজশাহী রুটে ৪টি এবং ঢাকা- সৈয়দপুরে সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঈদে বিমানের সকল টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ শাকিল মেরাজ বলেন, ‘ঈদে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটের টিকেট অধিকাংশই বিক্রি হয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে ১৩ জুন বরিশাল-রাজশাহীতে ২টা অতিরিক্ত ২টি ফ্লাইট বেশি পরিচালনা করবো। একইভাবে ১৪ জুন যশোর-সৈয়েদপুর রুটে অতিরিক্ত দুইটি ফ্লাইট বেশি চলবে।’
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে দৈনিক দুটি, যশোরে দুটি, রাজশাহীতে একটি ও বরিশালে সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট চালায়। এছাড়া চট্টগ্রাম রুটে দৈনিক পাঁচটি, কক্সবাজারে দুটি ও সিলেটে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
তাদের সকল টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে উল্লেখ করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ কমরুল ইসলাম বলেন, ‘ সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও যশোরের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন অতিরিক্ত ৩৫টি ফ্লাইট এই চার রুটে পরিচালনা করবো।’
তিনি বলেন, ‘সেই তুলনায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার রুটে চাপ কম থাকে। কারণ এই রুটগুলো আন্তর্জাতিক। আন্তর্জাতিক রুট হওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলো বোয়িং উড়োজাহাজ বা বড় উড়োজাহাজগুলো এই রুটে চলাচল করে। সিট সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এ রুটে যাত্রী বাড়লেও এয়ারলাইন্সগুলোর খুব বেশি সমস্যা হয় না। আন্তর্জাতিক রুটে যাওয়ার সময় ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বা সিলেট ঘুরে যেতে যাত্রী বহন করতে পারে।’
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ঢাকা-কক্সবাজার রুটে সপ্তাহে সাতটি, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ২৮টি, ঢাকা-যশোর রুটে ১৪টি ও ঢাকা- সৈয়দপুর রুটে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
রিজেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের জুনের ১০ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ টিকেট বিক্রি শেষ। একটা অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে কক্সবাজার রুটে।’
নভোএয়ার বর্তমানে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে দৈনিক চারটি, যশোরে তিনটি ও রাজশাহীতে একটি ফ্লাইট চালাচ্ছে। আর চট্টগ্রাম রুটে দৈনিক ছয়টি ও কক্সবাজারে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং এন্ড সেলস্ মেসবাহ উল হক বলেন, ‘নিয়মিত ফ্লাইটে অধিকাংশ টিকেট শেষ হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত রাজশাহীতে, সৈয়দপুর, যশোর ২টা করে ১২ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ফ্লাইট চলবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন