চাপের মধ্যেও মিয়ানমারে জাতিগত নিধন অব্যাহত

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার জাতিগত নিধনযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি করা বার্ষিক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারপরও সেখানে সহিংসতা বন্ধ হয়নি। বরং নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণের শিকার হয়ে নতুন করে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এমনকি মিয়ানমারের কোচিনে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এখনো সহিংসতা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেন বৈশ্বিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মার্কিন দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক।

মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যেই জাতিগত সহিংসতা চলছে।

গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর হামলার মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরো চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে।

এদিকে গত ১২ মে শান রাজ্যের মুসেতে সেনাবাহিনীর দুটি বেইজের কাছে এবং লাশিও শহরে যাওয়ার পথে একটি সেতুর কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারে যে কয়টি সশস্ত্র গোষ্ঠী জাতিগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়ছে, তার মধ্যে টিএনএলএ একটি।

২০১৭ সালে চীনের দেওয়া হিসাবমতে, সহিংসতা আর হানাহানির কারণে মিয়ানমার থেকে প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। এবং ২০০৯ ও ২০১৫ সালের সহিংসতার সময় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।