এই ‘আঁচিল সুন্দরী’ হতে পারেন ভবিষ্যতের মিস ইউনিভার্স
তার আপাদমস্তক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আঁচিল। লোমযুক্ত এসব আঁচিল তার জন্মদাগ। সবার চোখে সৌন্দর্যহানিকর। সেই ছোটকাল থেকে নানা বিদ্রূপ আর কটু কথার শিকার হয়েছেন অসংখ্যবার। আজকের ২০ বছর বয়সী এভিটা প্যাটসে এজার ডেলমুন্ডো কিন্তু তার দেহজুড়ে থাকা আঁচিলের মাঝেই সৌন্দর্য খুঁজেছেন। শুধু তাই নয়, তিনিই হতে পারেন ভবিষ্যতের মিস ইউনিভার্স।
স্কুলে থাকতেই সহপাঠীরা তাকে প্রায়ই দানব বলে ডাকতো। অনেকেই আবার ‘চকোলেট কুকি’ বলতো আঁচিলগুলোকে। গাঢ় বাদামী আঁচিলগুলোতে লোমের বিস্তার।
মালয়েশিয়ায় মেয়ে এভিটা। স্থানীয় একটি ক্যাফেতে পার্ট-টাইম চাকরি করেন। এখন তার সৌন্দর্যকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে আঁচিলের উপস্থিতিকেই কারণ হিসাবে দেখছেন অনেকেই। যারা তাকে চেনেন, সবাই পরামর্শ দিচ্ছেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে।
স্মৃতিচারণ করলেন এভিটা, প্রাইমারিতে পড়ার সময় কেউ আমার বন্ধু হতে চাইতো না। মনে আছে, এ শিক্ষক দুটো মেয়েকে বলেছিলেন মাঝে মাঝে আমাকে সময় দিতে। ওরা ফিসফিস করে বলতো, যেন রাজকুমারী এসেছে। কেন তার সঙ্গে আমাদের থাকতে হবে? আসলে আমি ছিলাম একাকী এক মেয়ে।
এলি ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ১৬ বছর বয়সে নিজের এই অবস্থাকে মেনে নিতে শিখেছি। এক চার্চের ক্যাম্পিংয়ে অংশ নেওয়ার পরই নিজের সম্পর্কে বাজে ধারণা বদলে যায় তার। এক সময় এই আঁচিলগুলো সার্জারি করে সরানোর চিন্তা থাকলেও তা বাদ দিয়েছি। অন্য পথে এসেছে আত্মবিশ্বাস। আমি যেমনটা দেখতে, তাই আমার পরিচয়। এটাকে মেনে নিতে শিখেছি।
গত ১৭ জুন তারিখে তিনি ঠিকই মিস ইউনিভার্স মালয়েশিয়ার অডিশনে দাঁড়িয়েছিলেন। পরের পর্বের জন্য টিকে যান কিনা তাই দেখার বিষয়। কিন্তু যদি না টেকেন, তার জন্য এভিটার আত্মবিশ্বাসে এতটুকু চিড় ধরবে না। ভবিষ্যতে অন্যান্য সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ঠিকই নাম লেখাবেন। কারণ, সুযোগ কোথাও না কোথাও ঠিকই আছে। সূত্র : ইন্টারনেট
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন