কলাপাড়ায় থাপ্পর মেরে জেলের কান ফাটিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাল কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় এক জেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যানের বেধরক মারধরে ওই জেলের কান ফেটে গিয়ে সঙ্গাহীন হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান উপস্থিত ব্যক্তিরা। পরে তিনি চেয়ারম্যানের অনুরোধে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে রাত ১১টার দিকে তিনি ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত জেলে জামাল তালুকদার (৪৫) ধানখালী ইউপির মরিচবুনিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান তালুকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এবিষয়ে আহত জামাল তালুকদার মঙ্গলবার রাতে কলাপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী একজন প্রকৃত জেলে এবং মৎস্য শিকারে নির্ভরশীল হয়েই তিনি জীবীকা নির্বাহ করেন। কিন্তু একাধিকবার ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের কাছে ধরনা দিয়েও তিনি জেলে কার্ড পাননি। তবে ২মাস পূর্বে চেয়ারম্যান তার এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে সরকারী জেলে চাল নিতে খবর পাঠান। এবং তিনি খবর পেয়ে পরিষদে আসলে রিয়াজ উদ্দিন তাকে ৫০ কেজির ১বস্তা চাল দেন। এর পরে সোমবার সরকারী প্রণোদনার চাল নিতে ফের খবর দেন চেয়ারম্যান।

এদিনও ৫০ কেজির চাল দিলে জামাল ৩০ কেজি চাল কম পাওয়ায় প্রতিবাদ করেন এবং জেলে কার্ড চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তাকে বেধরক মারধর করেন। এবং এক পর্যায় তার বাম কানে জোরে থাপ্পর মারলে তিনি সঙ্গাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার অভিযোগ চেয়ারম্যানের হাতের আঘাতে তার কানের অভ্যন্তরে ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। পরে তাকে অজ্ঞাত লোকজন উদ্ধার করে ধানখালী পরিবার কল্যাণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুরোধে বাড়িতে ফিরলেও রাতে ফের অসুস্থ হলে স্বজনরা তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এবিষয়ে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান জানান, জামাল কোন কার্ডাধারী জেলে নয় এবং সে চাল পাবেও না। তবে ওই ঘটনার সময় অন্য একজন একবস্তা চাল নিয়ে গেলে তাকে আমি থাপ্পর দিতে গেলে জামালের গায়ে পড়েছে। আমি ওকে মারিনি। কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান,তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।